শনিবার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছে পুলিশ।
নিহত সিরাজুল মাতুব্বর (২৮) ভাঙ্গা উপজেলার কাউলীবেড়া ইউনিয়নের শেখপুরা গ্রামের কৃষক সূর্য মাতুব্বরের ছেলে। পাঁচ ভাই ও এক বোনের মধ্যে সিরাজুল তৃতীয়।
নিহতের পরিবারের সদস্যরা জানান, সিরাজুল শুক্রবার রাত ১২টার দিকে কাউলীবেড়া ইউনিয়নের মোটরা গ্রামের বাজার থেকে বাড়ি ফেরেন। তারপর রাতের খাবার খেয়ে একটি টর্চ লাইট নিয়ে বাড়ির পাশে তাদের একটি গরুর খামার দেখতে বের হয়ে আর বাড়ি ফেরেননি।
শনিবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে এলাকার লোকজন গ্রামের পাটক্ষেতে সিরাজুলের লাশ দেখতে পেয়ে পরিবারের সদস্যদের খবর দেন।
নিহতের বড় ভাই আলী মিয়া মাতুব্বর বলেন, “গ্রামবাসীদের কাছ থেকে শুনে তারা ওই পাট ক্ষেতে গিয়ে আমরা সিরাজুলকে মৃত অবস্থায় দেখতে পান। তার মুখ ও মাথায় ধারাল অস্ত্রের আঘাত রয়েছে।”
ভাঙ্গা থানার ওসি কাজী সাইদুর রহমান বলেন, তিনি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। লাশের মাথা ও মুখে একাধিক কোপের দাগ রয়েছে। পাশাপাশি নাক ও মুখ কাদায় মাখানো ছিল।
ওসি বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে তাকে কোপানোর পাশাপাশি শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে।
লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে মৃতের বড় ভাই আলী মিয়া মাতুব্বর বাদী হয়ে থানায় একটি হত্যা মামলা দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
ওসি সাইদুর রহমান আরও বলেন, বিকাশ প্রতারাণাসহ বিভিন্ন প্রতারণা চক্রের সঙ্গে জড়িত ছিলেন সিরাজুল। তার নামে ভাঙ্গা থানায় একই গ্রামের জামাল হত্যা ও প্রতারাণাসহ পাঁচটি মামলা চলমান রয়েছে। তবে প্রতিটি মামলায় তিনি জামিন পেয়েছিলেন।