শুক্রবার বিকাল সাড়ে ৫টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর একাডেমিক ভবনে তাকে তার কক্ষে তালাবদ্ধ করে রাখে শিক্ষার্থীরা। পরে প্রক্টর গিয়ে তাকে উদ্ধা করেন।
সিরামিকস অ্যান্ড স্কাল্পচার বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী সুপ্ত বলেন, তিনি তার এক বান্ধবীকে নিয়ে হাঁটছিলেন। তখন এই শিক্ষক তার বান্ধবীকে ডেকে নিয়ে কটূ মন্তব্য করেন।
“আমি জিজ্ঞেস করি যে, কেন তিনি এসব বললেন। তখন সার আমার হাত ধরে মোচড়াতে থাকেন। একপর্যায়ে তিনি আমাকে কিল-ঘুষি মারা শুরু করেন। পরে সিরাজী ভবনের প্রহরীরা এসে আমাকে উদ্ধার করেন।”
সিরাজী ভবনের এক প্রহরী নাম না জানিয়ে বলেন, “আমি দেখেছি যে এক ছেলেকে জহির স্যার হাত ধরে মোচড়াচ্ছেন। ছেলেটাও স্যারকে মারতে চাচ্ছে। এ অবস্থায় আমরা কয়েকজন গিয়ে শিক্ষক-শিক্ষার্থীকে সরিয়ে দেই। শুনলাম স্যার নাকি ওই ছাত্রের সঙ্গে থাকা মেয়েকে কিছু বলেছেন। এটা নিয়েই ঝামেলা হয়।”
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর মো. লুৎফর রহমান বলেন, “ওই শিক্ষক মারধরের অভিযোগটি অস্বীকার করেছেন। একটু সময় নিয়ে যোগাযোগ করতে হবে। তবে ভুক্তভোগী যদি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে অভিযোগ দেয়, সেক্ষেত্রে তদন্ত কমিটি গঠন হতে পারে।”
এ বিষয়ে জানতে অধ্যাপক এনামুল জহিরের চেম্বারে গেলে তিনি কথা বলতে রাজি হননি।