সাতদিন ধরে বন্ধ গাইবান্ধা-ঢাকা রুটে বাস চলাচল

গাইবান্ধা থেকে শুক্রবারও ঢাকাগামী কোনো বাস ছেড়ে যায়নি; ফলে ঢাকাগামী যাত্রী চরম দুর্ভোগে পড়েছেন।

গাইবান্ধা প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 12 July 2019, 09:54 AM
Updated : 12 July 2019, 09:54 AM

শ্রমিক ইউনিয়নের সঙ্গে বাস মালিকের দ্বন্দ্বের জেরে গত শনিবার সকাল থেকে গাইবান্ধা-ঢাকা বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে।

বাস মালিক ও বাস স্টাফদের অভিযোগ, মালিক সমিতির নামে গাইবান্ধায় শ্রমিক ইউনিয়ন ঢাকাগামী প্রতিটি চেয়ার কোচ বাস থেকে ৪৪০ টাকা করে আদায় করছে; যেখানে ৩৬০ টাকা করে নেওয়ার কথা রয়েছে।

এছাড়া পথে জেলার পলাশবাড়ী ও গোবিন্দগঞ্জে শ্রমিক ইউনিয়নের নেতারা নানা কারণে বাসের স্টাফদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করে থাকেন।

এর প্রতিবাদে পরিবহন মালিকরা বাস চলাচল বন্ধ ঘোষণা করায় এই অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। তবে টার্মিনাল থেকে অভ্যন্তরীণ সকল রুটে বাস চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।

জেলা বাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আ স ম রুহুল হক নান্নু বলেন, মোটর শ্রমিক সংগঠনের মহাসড়কে চাঁদাবাজি ও বর্ধিত হারে চাঁদা আদায় বন্ধ, সড়কে যানবাহনের নিরাপত্তা বিধানসহ অন্যান্য বিষয়ে নিস্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত বাস চলাচল বন্ধ থাকবে বলে ঢাকা বাস-ট্রাক ওনার্স অ্যসোসিয়েশন থেকে জানানো হয়েছে।

শুক্রবার গাইবান্ধা কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালে গিয়ে দেখা যায়, পরিস্থিতির কোনো উন্নতি হয়নি। ঢাকাগামী সকল বাস টার্মিনালে দাঁড় করিয়ে রাখা হয়েছে। টিকিট কাউন্টারগুলোও ফাঁকা।

এদিকে ঢাকামুখী বাস বন্ধ থাকায় এ রুটে চলাচলকারী ট্রেনের উপর চাপ বেড়েছে।

অনেকে গাইবান্ধা থেকে লোকাল বাস ও অটোরিকশা করে ১৯ কিলোমিটার দুরে পলাশবাড়ী উপজেলা শহরে গিয়ে রংপুর, কুড়িগ্রাম, ঠাকুরগাঁও ও পঞ্চগড় থেকে ঢাকাগামী বাসে করে ঢাকা যাচ্ছেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পরিবহন কাউন্টারের ম্যানেজার বলেন, শ্রমিক ইউনিয়ন দ্বিগুন চাঁদা দাবি করছে। তাই বাধ্য হয়ে পরিবহন মালিকরা গাড়ি চালানো বন্ধ রেখেছে।

এসআর পরিবহনের বাস চালক মনিরুজ্জামান বলেন, “আমরা বাস চালালে টাকা পাই। আমি সাত দিন ধরে গাইবান্ধায় বসে আছি। পরিবারের কাছে টাকা পাঠাতে পারছি না। তারা কষ্টে আছে।”

জেলা প্রশাসক মো. আবদুল মতিন বলেন, গাইবান্ধার পরিবহন শ্রমিক ও মালিকদের অভিযোগ, ঢাকার বাস মালিক ও শ্রমিক ইউনিয়ন তাদের বাস চালাতে দিচ্ছে না। বিষয়টি দ্রুত সমাধানের জন্য চেষ্টা করা হচ্ছে।