বৃহস্পতিবার নারায়ণগঞ্জের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম কাওসার আলমের আদালতে তার জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়।
নারায়ণগঞ্জ কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক হাবিবুর রহমান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, পাঁচ দিনের রিমান্ড শেষে আদালতে হাজির করা হলে সেখানে তিনি দোষ স্বীকার করে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন।
পরে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়।
গত ২৭ জুন বৃহস্পতিবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জের কুতুবপুর ইউনিয়নের মাহমুদপুর এলাকার ‘বাইতুল হুদা ক্যাডেট মাদ্রাসায়’ ১২ শিশু ছাত্রীকে ধর্ষণ ও ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগে অধ্যক্ষ আল আমিনকে গ্রেপ্তার করে র্যাব-১১।
হাবিবুর রহমান বলেন, পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে আল আমিন ১২ শিশু ছাত্রীকে ধর্ষণ ও ধর্ষণের চেষ্টা এবং যৌন হয়রানির অভিযোগ স্বীকার করেছেন। তার মোবাইল ফোন ও কম্পিউটার থেকে অশ্লীল ভিডিও জব্দ করা হয়েছে।
এই ঘটনায় স্থানীয় লোকজন আল আমিনের শাস্তি চেয়ে এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল করেছেন।
এ ঘটনায় গত শুক্রবার সকালে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মাদ্রাসার এক ছাত্রীর মা বাদী হয়ে একটি এবং পর্নোগ্রাফি ও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে র্যাবের ডিএডি কামাল হোসেন বাদী হয়ে ফতুল্লা মডেল থানায় এ পৃথক দুটি মামলা দায়ের করেন।
র্যাবের দায়ের করা মামলায় ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে আদালত।