বুধবার দুপুরে মুকসুদপুর উপজেলার জলিরপাড় বাজারে এ ঘটনা ঘটে।
আহত বিপ্লব মজুমদারকে (৪৯) মুকসুদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপতালে পাঠানো হয়েছে।
বিপ্লব মজুমদার মুকসুদপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ও জলিরপাড় গ্রামের প্রয়াত বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ নিত্যরঞ্জন মজুমদারের ছেলে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দুপুর ১২টার দিকে বিপ্লব জলিরপাড় মাছ বাজারের কাছে গেলে প্রতিপক্ষের এক নেতা ১৫/২০ জন লোকসহ তার উপর হামলা করে। তারা প্রায় ৩০ মিনিট তাকে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করে চলে যায়।
নাম না প্রকাশ করার শর্তে স্থানীয়রা জানিয়েছেন, জলিরপাড় জে কে এম বি মল্লিক উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সদস্য খলিল শেখ ও রিপন গংদের সঙ্গে বিপ্লব মজুমদারের বিরোধ চলে আসছিল।
গত উপজেলা নির্বাচনে খলিল শেখ বিজয়ী উপজেলা চেয়ারম্যান কাবির মিয়ার সমর্থক ছিলেন। বিপ্লব পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থী এস এম মহিউদ্দিন আহম্মেদ মুক্তু মুন্সিকে সমর্থন করেন।
এ কারণে দুপক্ষের মধ্যে বিরোধ চরম আকার ধারণ করে।
“প্রাথমিক তদন্তে স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এ বিরোধকে কেন্দ্র করেই খলিল রিপন গং বিপ্লব মজুমদারের উপর হামলা করেছে। এ ঘটনায় এখনও কাউকে আটক করা হয়নি।”
হামলার শিকার আওয়ামী লীগ নেতার পরিবারের পক্ষ থেকে এখনও কোনো অভিযোগ করা হয়নি। অভিযোগ পেলেই আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ঘটনস্থালে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে বলে জানান ওই পুলিশ কর্মকর্তা।
খলিল শেখ পলাতক থাকায় এ ব্যাপারে তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
মুকসুদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মাহমুদুর রহমান বলেন, মারপিটে বিপ্লবের বাম হাত ভেঙে গেছে। পায়ে আঘাত রয়েছে। এছাড়া পিঠে মারাত্মক আঘাত থাকায় তার শ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছে। এ কারণে তাকে ফরিদপুর মেডিকেলে পাঠানো হয়েছে।