নগর ভবনে মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে মেয়র মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম এই তথ্য প্রকাশ করেন।
মেয়র বলেন, সিটির একাউন্ট ও বিভিন্ন ব্যক্তির কাছ থেকে অর্থ আদায় করে আত্মসাতের অভিযোগে প্রধান হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা নজরুল ইসলামকে, নিয়মবহির্ভূতভাবে নগরীতে বাসা ও ফ্যাক্টরির ভবন নির্মাণের প্ল্যান ব্যাক ডেটে পাশ করে দেওয়ার অভিযোগে সহকারী প্রকৌশলী মোজাহিদুল ইসলামকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
লাইসেন্স কর্মকর্তা মোস্তফা কামালকে বরখাস্ত করা হয়েছে ফাইল আটকে অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের অভিযোগে।
সাময়িক বরখাস্তদের মধ্যে আরও রয়েছেন সিটির ২২ নম্বর ওয়ার্ড সচিব মাহাবুব আলম, ২৪ নম্বর ওয়ার্ড সচিব জহির আলম, ৪২ নম্বর ওয়ার্ড সচিব আক্তার হোসেন, ৩২ নম্ব ওয়ার্ড সচিব মাহাবুবুর রহমান, ৩৪ নম্বর ওয়ার্ড সচিব নাদিম হোসেন ও ৪৯ নম্বর ওয়ার্ড সচিব মুক্তার হোসেন।
ফাইল আটকে মেয়র/কাউন্সিলরের নাম ভাঙ্গিয়ে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের অভিযোগে এদের চাকরি থেকে অব্যহতি দেওয়া হয় বলে মেয়র জানান।
এছাড়া নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে সিটি করপোরেশনের পাঁচ কর্মকর্তা-কর্মচারীকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে বলেও মেয়র জাহাঙ্গীর জানান।
এরা হলেন কর নির্ধারণ কর্মকর্তা আতাউর রসুল ভুইয়া, অফিস সহায়ক সোহেল, কর আদায় সহযোগী কালাম, জমি জরিপ শাখার সাইফুল ও কর নির্ধারণ সহযোগী কামরুজ্জামান।
সংবাদ সম্মেলনে সিটি মেয়র আরও জানান, ট্যাক্স, পানি ও বিদ্যুৎ শাখার অপর পাঁচ কর্মকর্তা-কর্মচারীকে নজরদারীতে রাখা হয়েছে।
মেয়র মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম বলেন, গাজীপুর সিটি করপোরেশনকে সুন্দরভাবে গড়ে তোলার জন্য সরকার প্রায় ৭ হাজার ৬শ কোটি টাকা বরাদ্ধ দিয়েছে। তিনি এজন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানান। তিনি গাজীপুর সিটিকে গ্রীন সিটি ও ক্লিন সিটিতে পরিণত করতে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের সকল উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে নগরবাসীর সবার সহযোগিতা কামনা করেন।