ঝিনাইগাতী সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোফাজ্জল হোসেন বলেন, মঙ্গলবার পর্যন্ত ছুড়িহারা, দিঘিরপাড়, চতল, রামনগর, কালিনগর, দড়িকালিনগর, বালুরচর, দারিয়ারপাড়সহ কয়েকটি গ্রামের শত শত মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কৃষকদের বীজতলা। রাস্তাঘাট বিধ্বস্ত হওয়ার পাশাপাশি অনেক পুকুরের মাছ ভেসে গেছে।
মালিঝিকান্দা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম তোঁতা জানান, দেবোত্তরপাড়া, লগাঁও, হাসলিগাঁও, বানিয়াপাড়া, রাঙামাটিসহ কয়েকটি গ্রামের মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। কৃষকদের বীজতলা পানির নিচে তলিয়ে গেছে। অনেক পুকুরের মাছ ভেসে গেছে।
হাতিবান্ধা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল আমিন দোলা জানান, হাতিবান্ধা, লয়খা, কামারপাড়া, মাগলার মুখসহ কয়েকটি গ্রামের মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। কৃষকদের বীজতলা তলিয়ে গেছে।
ধানশাইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম জানান, সোমেশ্বরী নদীর পানিতে বাগের ভিটা, দাড়িয়ারপাড়, কান্দুলী, কোচনীপাড়া, মাঝাপাড়াসহ কয়েকটি গ্রামের মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। পানির তোড়ে বাগেরভিটা-কোচনীপাড়া রাস্তা বিধ্বস্ত হয়ে সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।
গৌরীপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান মন্টু জানান, মহারশী নদীর পানির তোড়ে দিঘিরপাড়ে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাধ ভেঙে চারটি গ্রামে পানি প্রবেশ করেছে। শতাধিক একর বীজতলা তলিয়ে গেছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রুবেল মাহমুদ, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আব্দুল মান্নান ও ঝিনাইগাতী সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোফাজ্জল হোসেন চাঁন জানান, মহারশী নদীর দিঘিরপাড় বিধ্বস্ত বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ এলাকা তারা পরিদর্শন করেছেন।
তারা নদীগর্ভে বিলিন হওয়া তিন পরিবারকে সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির জানান, ৬৭০ হেক্টর জমিতে বীজতলা তৈরি করা হয়েছিল। তার মধ্যে ১৫ হেক্টর জমির বীজতলা তলিয়ে গেছে।