বগুড়ায় ‘৭ দিনমজুরকে’ ডাকাত বলে চালানোর অভিযোগ

বগুড়ায় ‘সাত দিনমজুরকে’ ডাকাত বলে চালানোর অভিযোগ উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে।

বগুড়া প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 10 July 2019, 09:23 AM
Updated : 10 July 2019, 09:32 AM

গ্রেপ্তারকৃতদের পরিবার মঙ্গলবার বিকালে বগুড়া প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করেন।

শাজাহানপুর থানার ওসি আজিম উদ্দিন গ্রেপ্তারের কথা স্বীকার করে বলেন, “রোববার রাতে সুনির্দিষ্ট প্রমাণের ভিত্তিতে শাজাহানপুর উপজেলার শাখাটিয়া গ্রামের রাস্তার পাশ থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।”

তবে কী ধরনের প্রমাণ আছে সে সম্পর্কে তিনি কিছু বলেননি।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন ধুনট উপজেলার রামনগর গ্রামের শফিকুল ইসলাম (২৮), মশিউর রহমান (৪২), বিলচাপড়ি গ্রামের মোমিন শাহ (২৫), মশিউর রহমান মাসুম (৩৮), দেলোয়ার হোসেন (২৫), শহিদুল ইসলাম (৩৪) ও রজব আলী (৪৪)।

সংবাদ সম্মেলনে মশিউর রহমান মাসুমের স্ত্রী শাকিলা খাতুন লিখিত বক্তব্যে বলেন, “গত রোববার রাতে চারজন পোশাকধারী পুলিশ, বোরখা পরা একজন ও মুখবাঁধা পাঁচ-সাতজন লোক বাড়ি বাড়ি গিয়ে ঘুমিয়ে থাকা এই সাতজন নিরীহ মানুষকে টেনে তুলে ধরে নিয়ে যায়।

“তারা নারীদের সঙ্গে ধস্তাধস্তি করেন। গালাগালিসহ নারীদের সঙ্গে অশালীন আচরণ করেন। তাছাড়া তারা আমার মোবাইল ফোন, দেলোয়ার হোসেনের স্ত্রী সালমার মোবাইল ফোন, শহিদুল ইসলামের স্ত্রী বিনা খাতুনের মোবাইল ফোন ও শফিকুল ইসলামের স্ত্রী মফেলা খাতুনের মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নিয়ে যান।”

পরে পরিবারের সদস্যরা ধুনট থানায় যোগাযোগ করেন জানিয়ে শাকিলা বলেন, “ধুনট থানায় খোঁজ নিয়ে জানতে পারি এই থানার পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করেনি। পরদিন সকালে জানতে পারি, শাজাহানপুর থানার পুলিশ তাদের ধরে নিয়ে তাদের বিরুদ্ধে ডাকাতির প্রস্তুতির মামলা দেওয়া হয়েছে।

“ধুনট থানায় না জানিয়ে শাজাহানপুর থানার পুলিশ বাড়ির দরজা ভেঙে, ত্রাস সৃষ্টি করে এমন কাজ করেছে যা পুলিশের কাছে আশা করা যায় না। বর্তমানে আমরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। আমরা এই মামলা, নারীদের সঙ্গে অশালীন আচরণ ও পুলিশের সঙ্গে মুখবাঁধা বোরখা পরা লোকজনের তাণ্ডবের বিচার চাই।”

তিনি প্রকৃত ঘটনা তদন্ত করে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার পাশাপাশি ‘নিরপরাধ দিনমজুরদের’ মুক্তি দেওয়ার দাবি জানান পুলিশ সুপারসহ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে।

তবে ওসি আজিম উদ্দিন এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

তিনি বলেন, “সুনির্দিষ্ট প্রমাণের ভিত্তিতে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।”

এ বিষয়ে ধুনট থানার ওসি ইসমাইল হোসেন বলেন, “শুনেছি শাজাহানপুর থানার পুলিশ আমার থানা এলাকা থেকে সাত ব্যক্তিকে ধরে নিয়ে গেছে। এ ব্যাপারে মঙ্গলবার বিকাল পর্যন্ত শাজাহানপুর থানার পুলিশ আমাকে অবহিত করেনি।”

সংবাদ সম্মেলনে মশিউর রহমানের বড় ভাই প্রভাষক আনিছুর রহমান, দেলোয়ারের স্ত্রী সালমা আকতার, শফিকুল ইসলামের স্ত্রী মফেলা, রজব আলীর স্ত্রী ঝলকি খাতুনসহ তাদের স্বজনরা উপস্থিত ছিলেন।