ফেনী পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী জহির উদ্দিন বলেন, ভারী বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলের কারণে এই ভাঙন দেখা দেয়। বুধবার সকাল পর্যন্ত মুহুরী, কহুয়া ও সিলোনিয়া নদীর বেড়িবাঁধের কমপক্ষে ১০টি স্থান ভেঙে গেছে।
ফুলগাজি উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল আলীম জানান, মুহুরী নদীর ফুলগাজী বাজার গার্ড ওয়াল তলিয়ে যাওয়ায় মঙ্গলবার রাতে বাজারের দোকানপাট পানিতে তলিয়ে যায়। বুধবার সকালে বাজার থেকে পানি নেমে গেলেও উপজেলার নিম্নাঞ্চল তলিয়ে গেছে। ফুলগাজীর উত্তর ও দক্ষিণ দৌলতপুর, বরইয়া ও জয়পুর গ্রাম অংশে মুহুরীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ভেঙে বিস্তীর্ণ এলাকা, ফসলি জমি, রাস্তাঘাট, পুকুর প্লাবিত হয়েছে।
তিনি বলেন, পানি উঠেছে শালধর, ধনিকুণ্ডা, চিথলিয়া, রাজষপুর, মালিপাথর, নিলক্ষী, দেড়পাড়া, জয়পুর, কিসমত ঘনিয়ামোড়া, দূর্গাপুর, রামপুর ও পশ্চিম ঘনিয়া মোড়া গ্রামে। এসব গ্রামের শতাধিক ঘরবাড়িতে পানি উঠেছে। পানিতে তলিয়ে গেছে মাছের ঘের, পুকুর ও রাস্তা-ঘাট।
“প্রশাসনের পক্ষ থেকে ভাঙনকবলিত এলাকাগুলো পরিদর্শন করা হচ্ছে। সার্বক্ষণিক যোগাযোগের জন্য উপজেলায় কন্ট্রোল রুম চালু করা হয়েছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্ত্র মানুষদের মাঝে শুকনো খাবার বিতরণ করার প্রক্রিয়া চলছে।”
প্রকৌশলী জহির বলেন, বুধবার সকাল পর্যন্ত মুহুরী নদীর পানি বিপৎসীমার ৮০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ভাঙন ঠেকাতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিভিন্ন গ্রামে মাইকিং করা হয়েছে। সবাইকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।