টানা বর্ষণ, তিস্তার পানি বিপদসীমার কাছে

টানা বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলের কারণে নীলফামারীর কয়েকটি পয়েন্টে তিস্তা নদীর পানি বেড়ে বিপদসীমা ছুঁই ছুঁই করেছে।

বিজয় চক্রবর্তী কাজল নীলফামারী প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 9 July 2019, 12:40 PM
Updated : 9 July 2019, 12:51 PM

মঙ্গলবার সকাল ৯টা পর্যন্ত নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার ডালিয়ায় তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে তিস্তার পানি বিপদসীমার ১০ সেণ্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়। এই পয়েন্টে বিপদসীমা হলো ৫২ মিটার ৬০ সেণ্টিমিটার।

তবে জেলার কোথাও বন্যা দেখা দেয়নি বলে প্রশাসন ও স্থানীয়রা জানায়।  

এলাকাবাসী জানান, গত সোমবার সকাল থেকে মঙ্গলবার পর্যন্ত টানা বৃষ্টি হয়। এর সঙ্গে উজানের ঢলে তিস্তা নদীর পানি বাড়তে শুরু করে।

মঙ্গলবার ভোরে পানি বাড়তে থাকলে তিস্তা বেষ্টিত চর এলাকার লোকজন বন্যার আশঙ্কায় মোকাবেলার প্রস্তুতি নেয়। এরপর সকাল ১০টার পর থেকে পানি কমতে শুরু করে বলে স্থানীয়রা জানান।

ডিমলা উপজেলার পূর্ব ছাতনাই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ খাঁন বলেন, গত সোমবার মধ্যরাত থেকে তিস্তার পানি বৃদ্ধি পেতে শুরু করে। তবে কোনো বাড়িতে পানি ঢোকেনি।

একই উপজেলার টেপাখড়িবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ময়নুল হক বলেন, তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় তিস্তাপাড়ের মানুষজন বন্যার আশঙ্কায় সতর্কাবস্থায় রয়েছে। তবে এখনও বন্যা দেখা দেয়নি।

এদিকে, জেলা কৃষি বিভাগ জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় গড় বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে ৫১ দশমিক ১৬ সেণ্টিমিটার।

ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে মঙ্গলবার সকাল ৬টা ও ৯টায় নদীর পানি বিপদসীমার ১০ সেণ্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়। বেলা ১২টার পর থেকে তা কমতে শুরু করে বিকাল ৫টা পর্যন্ত বিপদসীমার ২০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়।

পরিস্থিতি মোকাবেলায় ব্যারাজের সবকটি (৪৪টি) জলকপাট খুলে রাখা হয়েছে। গত ২৪ ঘন্টায় তিস্তা ব্যারাজ এলাকায় ৬৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে বলে তিনি জানান।

বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধসহ দুর্বল স্থাপনাগুলো শক্তিশালীকরণে কাজ শুরু করা হয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে বলেও জানান তিনি।