রোববার সদর উপজেলার জগদল এলাকায় অভিযান চালিয়ে পুলিশ নাঈম (১৮) নামের ওই হাফেজকে গ্রেপ্তার করেছে।
বাগবাড়িয়া গ্রামে শনিবার রাতে মসজিদের বারান্দায় ঘুমন্ত অবস্থায় হাফেজ হাবিবুল্লাহকে (১৫) হত্যার চেষ্টার অভিযোগ ওঠে নাঈমের বিরুদ্ধে।
নাঈম মাগুরা শহরের পারনান্দুয়ালী গ্রামের মিন্টু মোল্যার ছেলে।
মাগুরা পুলিশ সুপার খান মুহাম্মদ রেজোয়ান সোমবার দুপুরে সদর থানায় সাংবাদিকদের সামনে নাঈমকে হাজির করেন।
এ সময় তিনি বলেন, গ্রেপ্তার নাঈম মাগুরা সদরের বাগবাড়িয়া মাদ্রাসার প্রাক্তন ছাত্র। আগের লেখাপড়ার সূত্রে ওই মাদ্রাসায় এসে মাঝে মাঝে থাকতের নাঈম।
সম্প্রতি নাঈমের একটি মোবাইল ফোন সেট মাদ্রাসা থেকে চুরি হয়। পরবর্তীতে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ সেটি উদ্ধার করে নাঈমকে ফেরত দেয়। কিন্তু নাঈম এ ঘটনার জন্যে হাবিবুল্লাহকে দায়ী করে বিরোধে জড়িয়ে পড়েন।
মাদ্রাসার আলোয় হাবিবুল্লাহ নাঈমকে চিনতে পেরেছে বলে পুলিশকে জানালে সদর থানা পুলিশ মাগুরার সদর উপজেলার জগদল মাধবপুর গ্রামের নাঈমের নানা বাড়ি থেকে নাঈমকে গ্রেপ্তার করে। হাবিবুল্লাহ হত্যাচেষ্টায় ব্যবহৃত ধারালো অস্ত্রটি পুলিশ উদ্ধার করেছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
মোবাইল চুরির বিরোধ সূত্রে হাবিবুল্লাহকে হত্যা চেষ্টার কথা পুলিশের কাছে স্বীকার করেছে নাঈম। এ ঘটনায় হাবিবুল্লাহর মা নাঈমকে আসামী করে সদর থানায় মামলা করেছেন।
শনিবার ভোর রাতে সদরের বাগবাড়িয়া মাদ্রাসায় মসজিদের বারান্দায় ঘুমন্ত অবস্থায় হাবিবুল্লাহ নামে মাদ্রাসা ছাত্রকে জবাই করে হত্যার চেষ্টা করে হাবিুল্লাহ নামে মাদ্রাসার প্রাক্তন ছাত্র নাঈম।