গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ-কামারজানি সড়কে গর্ত, চলাচলে ঝুঁকি

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ-কামারজানি ভায়া বেলকা পর্যন্ত বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের সড়কে নানা স্থানে বড়ো বড়ো গর্ত হওয়ায় ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হয়।

তাজুল ইসলাম রেজা গাইবান্ধা প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 8 July 2019, 11:46 AM
Updated : 8 July 2019, 12:09 PM

৩০ কিলোমিটার দীর্ঘ এই বাঁধ নির্মাণ করেছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। এর উপর দিয়ে প্রতিদিন চলাচল করে শত শত যানবাহন ও পথচারী।

সম্প্রতি টানা ভারি বর্ষণের কারণে এই সড়কে একাধিক বড়ো গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। ফলে যানবাহন, পথচারী ও স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থীরা ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে।

কিন্তু সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এ ব্যাপারে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।

স্থানীয়রা জানান, সুন্দরগঞ্জ সদরের সঙ্গে উপজেলার পূর্বাঞ্চল কাপাসিয়া, চণ্ডিপুর, শ্রীপুর, হরিপুর, কঞ্চিবাড়ি, শান্তিরাম ও বেলকা ইউনিয়নবাসীর সড়ক যোগাযোগের একমাত্র উপায় হচ্ছে এই বাঁধ। কুড়িগ্রামের চিলমারি ও সুন্দরগঞ্জের হরিপুর তিস্তা সেতুর সংযোগ সড়ক হিসেবে ইতিমধ্যে এই বাঁধটিতে মাটি ভরাটের আংশিক কাজ করা হয়েছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, কিন্তু মাস খানেক আগে অবিরাম বর্ষণের কারণে এই সড়কের ২০ থেকে ৩০টি স্থানে বড়ো বড়ো গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। বিশেষ করে বেলকা বাজার থেকে ধুমাইটারী পর্যন্ত রয়েছে পাঁচটি বড়ো গর্ত। এ কারণে ভারী যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। দুই ও তিন চাকার যানবহনগুলি ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে।

পথচারী রাশেদুল আলম বলেন, বৃষ্টির কারণে মাটি ধসে যাওয়ায় সাবধানে চলাচল করতে হচ্ছে।

ধুমাইটারী মাদ্রাসার শিক্ষার্থী আফছানা খাতুন বলেন, বাঁধটির বিভিন্ন স্থানে গর্তের সৃষ্টি হওয়ায় ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে।

বেলকা বাজারের অটোবাইক চালক তারাজুল ইসলাম জানান, রাতের বেলায় গাড়ি নিয়ে চলাচল করতে অনেক ভয় হয়। যেকোনো মুহূর্তে দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে।

তবে প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনো প্রকার সর্তকবার্তামূলক সাইনবোর্ড ঝুলানো কিংবা অন্য কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।

হরিপুর ইউপি চেয়ারম্যান নাফিউল ইসলাম জিমি বলেন, এই ইউনিয়নের বিবিসির মোড় থেকে পাঁচপীর বাজার পর্যন্ত ছোটো-বড়ো প্রায় ১০টি গর্ত হয়েছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবগত করা হয়েছে।

বেলকা ইউপি চেয়ারম্যান ইব্রাহিম খলিলুল্ল্যাহ বলেন, তার ইউনিয়নের ধুমাইটারী ফাজিল মাদ্রাসা সংলগ্ন এলাকায় যে বিরাট গর্তের সৃষ্টি হয়েছে সেটি ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে মেরামত করা সম্ভব নয়।

উপজেলা প্রকৌশলী মোহাম্মদ আবুল মুনছুর বলেন, বিষয়টি তার জানা ছিল না। অতিদ্রুত গর্ত ভরাটের ব্যবস্থা করা হবে।

“যদিও বাঁধটি পানি উন্নয়ন বোর্ডের, তারপরও এলজিইডির দেখভালের দায়িত্ব রয়েছে।”

গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোখলেছুর রহমান বলেন, বিষয়টি তার জানা নাই। খোঁজ খবর নিয়ে মেরামতের পদক্ষেপ নেওয়া হবে।