ওসি বলেন, “গ্রেপ্তারকৃতরা পেশাদার অপরাধী। তারা প্রতিনিয়ত চুরি ছিনতাইসহ নানা অপকর্ম করে বেড়াত।”
নিহত সেলিনা বেগম (৫০) আরিজপুর মহল্লার মো. শাহাবুদ্দিনের স্ত্রী। ঘটনার পর থেকে তাদের ছেলে আবদুস সালেক (৩০) পলাতক।
ওসি বলেন, “মাকে হত্যার পর সালেক গলায় রশি পেঁচিয়ে লাশ ঝুলিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে; যাতে সবাই আত্মহত্যা বলে মনে করে। কিন্তু প্রতিবেশীরা দেখে ফেললে সে পালিয়ে যায়।”
পরে প্রতিবেশীদের কাছ থেকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। সেলিনা বেগমের লাশ উদ্ধার করে পাঠানো হয় মর্গে।
ওসি বলেন, “গলায় ফাঁস লাগানো থাকলেও সেলিনা বেগমের শরীরের বেশিরভাগ অংশ মেঝেতেই ছিল। মাথা থেকে রক্ত ঝরছিল, হাতুড়িটাও ঘটনাস্থলে পড়ে ছিল।”
রাতে ওই বাড়িতে সালেক ও তার মা ছাড়া আর কেউ ছিলেন না। তবে প্রতিবেশীরা পুলিশকে বলেছেন, মাদকাসক্ত সালেক মায়ের কাছ থেকে নেশার টানা না পেয়ে এ ঘটনা ঘটিয়েছে বলে তারা ধারণা করছেন।