রোববার জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে এক জরুরি সভায় তিনি এ আহ্বান জানান।
জেলা প্রশাসক এ কে এম মামুনুর রশিদ বলেন, ‘ভারি বর্ষণের কারণে পুরো রাঙামাটি জেলায় পাহাড় ধসের ঝুঁকি রয়েছে। যেকোনো ধরনের দুর্ঘটনা এড়াতে জেলা প্রশাসন সতর্ক রয়েছে।
“রোববার বিকাল থেকেই রাঙামাটি শহরের বিভিন্ন ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় মাইকিং করা হয়।”
এ বছর রাঙামাটি শহরের ৩৩টি স্থানকে ঝুঁকিপূর্ণ বলে চিহ্নিত করেছে রাঙামাটি জেলা প্রশাসন। এসব এলাকায় বাস করছে অন্তত ৬২৯টি পরিবার।
শহরের ১৪টি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ সব সরকারি প্রতিষ্ঠানকে আশ্রয়কেন্দ্র ঘোষণা করা হয়েছে। আশ্রয়কেন্দ্রে রাতে শুকনা খাবার পরিবেশন করা হবে বলেও জানায় প্রশাসন।
২০১৭ সালের ১৩ জুন রাঙামাটিতে প্রবল বর্ষণের পর পাহাড় ধসের ঘটনায় পাঁচ সেনাসদস্যসহ ১২০ জনের প্রাণহানির ঘটনা ঘটে। এ সময় আহত হয় আরও দুই শতাধিক মানুষ। এর এক বছর পার না হতেই ২০১৮ সালের ১২ জুন রাঙামাটির নানিয়ারচর উপজেলায় প্রবল বর্ষণে পাহাড় ধসের ঘটনায় মৃত্যু হয় ১১ জনের।
সভায় বিদ্যুৎ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী সবুজ কান্তি মজুমদার বলেন, “ভারি বৃষ্টিতে যেকোনো এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগের ত্রুটি দেখা দিতে পারে। এ ব্যাপারে আমাদের জানালে আমরা সাথে সাথেই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।”
জেলা প্রশাসক এ কে এম মামুনুর রশিদের সভাপতিত্বে এই সভায় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) এসএম শফি কামাল, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) শারমিন আলম, জেলা বিদ্যুৎ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী সবুজ কান্তি মজুমদার, জেলা সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী শংকর চন্দ্র পাল, রাঙামাটি পৌরসভার প্যানেল মেয়র জামাল উদ্দিনসহ পৌর কাউন্সিলররা উপস্থিত ছিলেন।