ভোলায় আটটি গ্রাম প্লাবিত, পানিবন্দি কয়েক হাজার মানুষ

স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি উচ্চতার জোয়ারের কারণে চরফ্যাশনের ঢালচর ইউনিয়নের আটটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।

এতে রাস্তা-ঘাট, হাট-বাজার, স্কুল, মসজিদ-মাদ্রাসা ও বসতঘরসহ বিস্তীর্ণ এলাকা ডুবে গেছে। পানিবন্দি হয়েছে এই ইউনিয়নের কয়েক হাজার মানুষ।

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, গত শুক্রবার দুপুরের পর থেকে জোয়ারের পানি বাড়তে থাকায় এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। জোয়ারের পানি আরও বাড়তে পারে।

স্থানীয় বাসিন্দা মনজু খন্দকার বলেন, প্রতিবছর এই সময়ে জোয়ারের মাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি হয়ে থাকে। কিন্ত এ বছর দক্ষিণ-পূর্ব কোণের বাতাসের দাপট থাকায় স্বাভাবিকের চেয়ে অধিক উচ্চতার জোয়ারে প্লাবিত হয়েছে সমগ্র ঢালচর।

“গ্রামের কাঁচা রাস্তাগুলো ভেসে গেছে। ভেসে গেছে পুকুরের মাছ। ডুবে গেছে বাড়িঘর, মসজিদ, ফসলের ক্ষেত, হাটবাজার ও রাস্তাঘাট।”

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল সালাম হাওলাদার বলেন, গত শুক্রবার থেকে জোয়ারে প্লাবিত হওয়ায় বাড়িঘর ডুবে গেছে, রাস্তাঘাটের ব্যপাক ক্ষতি হয়েছে। স্কুল মাদ্রাসায় ক্লাস বন্ধ রয়েছে।

চরফাশন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুহুল আমিন বলেন, যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে থাকায় প্লাবিত এলাকার খোঁজ খবর নেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। তবে যোগাযোগের চেষ্টা অব্যহত আছে।

ভোলার পানি উন্নয়ন বিভাগ-২ এর নির্বাহী প্রকৌশলী কাইসার আলম বলেন, “স্বাভাবিকের চেয়ে ৫-৬ ফুট উচ্চতার জোয়ারের পানিতে ঢালচরের কিছু এলাকা প্লাবিত হয়েছে। বেঁড়িবাধ না থাকায় ঢালচরের মেঘনা পাড়ের মানুষ চরম ঝুঁকির মধ্যে আছে।”