দুই মাসেও খোঁজ মেলেনি ফেনীর যুবলীগ নেতা গাজী মিলনের

ফেনীর সোনাগাজীর উপজেলার চরচান্দিয়া ইউনিয়ন যুবলীগ নেতা গাজী মিলনকে ‘র‌্যাব  পরিচয়ে’ তুলে নেওয়া হয়েছে দাবি করে তার সন্ধান চেয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছে পরিবার।

ফেনী প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 7 July 2019, 07:36 AM
Updated : 7 July 2019, 07:36 AM

মিলন চরচান্দিয়া ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি এবং ওই ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুস সামাদের ছেলে।

রোববার সকালে ফেনী শহরের একটি রেস্তোরায়ঁ সংবাদ সম্মেলনে মিলনের ছেলে আব্দুল্লাহ আল নোমান বলেন, গত ৫ মে দুপুরে এলাকার জাহাঙ্গীর ডাক্তারের ফার্মেসি এলাকা থেকে ‘র‌্যাব পরিচয়ে’ সাদা পোশাকধারী ৬-৭ জন ব্যক্তি তার বাবাকে একটি কালো রঙের মাইক্রোবাসে তুলে স্থানীয় ওলামা জাবার থেকে পশ্চিম দিকে নিয়ে যায়।

এরপর সোনাগাজী মডেল থানা, গেলা গোয়েন্দা অফিস, পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) ফেনী অফিস ও র‌্যাব -৭ ফেনী ক্যাম্পে একধিকবার যোগাযোগ করেও এ যুবলীগ নেতার সন্ধান পায়নি তার পরিবার।

পরিবারের অভিযোগ,গাজী মিলন নিখোঁজের ঘটনায় তাদের প্রতিবেশী ‘র‌্যাবের সোর্স’ হিসেবে পরিচিত সেন্টু বিরুদ্ধে র‌্যাবের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দেওয়া হলেও র‌্যাব তা গ্রহণ করেনি। পরে র‌্যাবের পরামর্শে সেন্টুর নাম বাদ দিয়ে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়।

সংবাদ সম্মেলনে মিলনের স্ত্রী আকলিমা বেগম বলেন, গত বছর এপ্রিল মাসে সোনাগাজী মডেল থানার ওসি (বর্তমানে সাসপেন্ড) মোয়াজ্জেম হোসেন তার স্বামীকে আটক করে। এরপর ডাকাতি মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর ভয় দেখিয়ে পাঁচ লাখ টাকা দাবি করে।

“আমরা টাকা দিতে ব্যর্থ হলে একটি ডাকাতি মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে মিলনকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। পরে জামিনে তিনি মুক্তি পান।”

সংবাদ সেম্মলনে মিলনের ভাইয়ের স্ত্রী জেসমিন আক্তারসহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।  

এ বিষয়ে জানতে চাইলে র‌্যাব -৭ ফেনী ক্যাম্পে যোগাযোগ করা হলে ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক সহকারী পুলিশ সুপার মো. জুনায়েদ জাহেদী বলেন, “গাজী মিলন নামে র‌্যাব  কাউকে আটক করেনি। তারপরও তার পরিবারের পক্ষ থেকে নিখোঁজের আবেদন পেয়ে খবর নেওয়া হয়েছে, কিন্তু কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি।”