শনিবার ফতেপুর ইউনিয়নের থলপাড়া গ্রামে এ হামলা হয় বলে পুলিশ জানিয়েছে।
রাতে এ ঘটনায় মেয়েটির বাবা থানায় অভিযোগ দিয়েছেন।
থলপাড়া ৬ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য দিলীপ রাজবংশী বলেন, গ্রামের অষ্টম শ্রেণির এক স্কুলছাত্রীকে একই গ্রামের মোশারফ হোসেনের ছেলে বখাটে সজিব মিয়া (২৫) উত্ত্যক্ত করতেন প্রায়ই।
“শনিবার সকালে স্কুলে যাওয়ার পথে ওই ছাত্রীকে তাদের বাড়ির পাশের রাস্তাতেই সজিব জোরপূর্বক তার মোটরসাইকেলে ওঠাতে চান। এতে ভয় পেয়ে ছাত্রীটি দৌড়ে বাড়িতে গিয়ে ওঠে।”
দিলীপ বলেন, পরে মেয়েটির পরিবারের সদস্যরা একই গ্রামের প্রভাবশালী ব্যক্তি বারেক মিয়ার কাছে বিষয়টি জানান। তিনি ঘটনাটি সজিবের পরিবারকে সতর্ক করে দেন।
দিলীপ রাজবংশী বলেন, উত্ত্যক্তের বিষয়ে নালিশ করায় সজিব ক্ষিপ্ত হয়ে ধারালো অস্ত্র নিয়ে বিকালে ছাত্রীটির বাড়ি যান। সেখানে প্রথমে মেয়েটির বাবাকে মারতে থাকেন। তা দেখে মেয়েটির চাচাত দাদা এগিয়ে গেলে সজিব তাকেও পেটাতে থাকেন।
“ভয়ে তিনি দৌড়ে ঘরে ঢুকলে দরজা ভেঙে ঘর থেকে বের করে সজিব তার গায়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করেন। এতে তার ঘারের পাশে কেটে যায়।”
মেয়েটির বাবা বলেন, তাকে বেধড়ক পেটানো হয়। ভয়ে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে তিনি নৌকাযোগে ঝিনাই নদী পার হয়ে পালিয়ে বাঁচেন।
মির্জাপুর থানার ওসি এ কে এম মিজানুল হক বলেন, রাতে মেয়ের বাবার অভিযোগ পাওয়ার পর বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখা হচ্ছে। অভিযোগ পেয়েই ওই বখাটে ছেলেকে গ্রেপ্তার করতে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।