সদর থানার পরিদর্শক মমিনুল ইসলাম জানান, বড় সংগলশী এলোকমারী গ্রামের নৃপেন্দ্র নাথ রায় ও পাশের দালালের বাজার গ্রামের মজিবুর রহমানের মধ্যে এই বিরোধ রয়েছে।
নৃপেন্দ্রনাথের স্ত্রী রঞ্জনা রানী অভিযোগ করেন, শুক্রবার সকাল ৯টার দিকে মজিবুর রহমানসহ অর্ধশতাধিক লোক এসে তাদের দখলে থাকা বাড়ির পাশের ৩০ শতক জমি দখলে নেওয়ার চেষ্টা করে।
“আমি বাধা দিলে তারা আমাকে ও আমার স্কুল পড়ুয়া মেয়েকে বিদ্যুতের খুঁটিতে বেঁধে শ্লীলতা হানিসহ বেধড়ক মারধর করে। এ সময় তারা আমাদের বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেয়।”
পরে এলাকাবাসী তাদের নীলফামারী সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়।
উত্তরা ইপিজেড ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন কর্মকর্তা বাদশা মাসুদ আলম বলেন, “আগুনে একটি কাঁচা ঘর পুড়ে গেছে। খবর পেয়ে আমারা সেখানে গিয়ে আগুন নিভিয়ে ফেলেছি।”
এদিকে মজিবর রহমান দাবি করেন, “ওই জমিটি আমি প্রকৃত মালিকদের কাছ থেকে কিনেছি। নৃপেন ওই জমির অবৈধ দখলদার।”
তবে কার কাছ থেকে তিনি জমিটি কিনেছেন সে বিষয়ে কিছু বলতে পারেননি।
পরিদর্শক মমিনুল ইসলাম বলেন, “ওই জমি নিয়ে দীর্ঘদিনের বিরোধের জেরে উভয়পক্ষের ১৫টির অধিক মামলা রয়েছে আদালতে ও থানায়। শুক্রবারের ঘটনায় নৃপেনের বড় ভাই সুনীল রায় বাদী হয়ে একটি মামলা করলে মজিবর রহমানের ছেলে আনোয়ার হোসেনকে (২৫) গ্রেপ্তার করা হয়। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তার করতে অভিযান চলছে।”
মজিবর রহমানের দায়ের করা একটি মামলায় বুধবার নৃপেন আদালতে হাজির হয়ে জামিন চাইলে আদালত নামঞ্জুর করেন তাকে কারাগারে পাঠায়।