ফেনীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালের বিচারক জেলা ও দায়রা জজ মামুনুর রশিদের আদালতে সোমবার সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত নিশাত সুলতানা ও নাসরিন সুলতানা ফূর্তির সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়।
আদালতের পিপি হাফেজ আহমেদ জানান, আসামিপক্ষের আইনজীবীরা নিশাত সুলতানাকে জেরা করেছেন। পরবর্তীতে নাসরিন সুলতানা ফূর্তির অর্ধেক জেরা হয়েছে।
আগামী ২ জুলাই নাসরিন সুলতানা ফূর্তি জেরা শেষে আদালত মাদ্রাসার দুই পিয়নের সাক্ষ্য গ্রহণ করবে বলে পিপি জানান।
এর আগে নুসরাতের বড়োভাই মামলার বাদী মাহমুদুল হাসান নোমানের সাক্ষ্য গ্রহণ হয়।
পিপি হাফেজ আহমেদ জানান, সোমবার বেলা সোয়া ১১টায় ১৬ কড়া নিরাপত্তায় প্রিজনভ্যানে করে জেলা কারাগার থেকে আসামিদের আদালতে আনা হয়। এ সময় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালের বিচারক জেলা ও দায়রা জজ মামুনুর রশিদের আদালতে আসামিদের তোলা হয়।
বাদীপক্ষের আইনজীবী শাহজাহান সাজু বলেন, আদালতে নুসরাতের বান্ধবী নিশাত সুলতানা ও নুসরাতের সহপাঠী নাসরিন সুলতানা ফূর্তির সাক্ষ্যগ্রহণ হয়। সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে ১৬ আসামিপক্ষের আইনজীবীরা নিশাত সুলতানাকে জেরা করেন। পরে অপর সাক্ষী নাসরিন সুলতানা ফূর্তিকে চার আসামির আইনজীবী জেরা করলে আদালতের নির্ধারিত সময় শেষ হয়ে যায়।
আগামী ২ জুলাই ১২ আসামির আইনজীবীরা নাসরিন সুলতানা ফূর্তিকে জেরা করবেন বলে পিপি জানিয়েছেন।
একই সঙ্গে অপর সাক্ষী সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল (ডিগ্রী) মাদ্রাসার পিয়ন নুরুল আমিন ও মোস্তফার সাক্ষ্যগ্রহণও হবে বলে তিনি জানান।
গত ৬ এপ্রিল ফেনীর মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফি আলিম পরীক্ষা দিতে গেলে মাদ্রাসা সংলগ্ন সাইক্লোন সেল্টারের ছাদে দুর্বৃত্তরা তার গায়ে আগুন লাগিয়ে দেয়। ১০ এপ্রিল রাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে নুসরাতের মৃত্যু হয়।
এঘটনায় নুসরাতের বড়োভাই মাহমুদুল হাসান নোমান গত ৮ এপ্রিল মাদ্রাসার সেসময়ের অধ্যক্ষ সিরাজ উদ-দৌলাকে প্রধান আসামি করে ৮ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ৪/৫ জনকে আসামি করে সোনাগাজী মডেল থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন।
এ মামলায় ২১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও পিবিআই পরিদর্শক মোহাম্মদ শাহ আলম সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদ-দৌলাসহ ১৬ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দিয়েছেন।