সোমবার সাতক্ষীরা ও যশোরে পুলিশ এ অভিযান চালিয়েছে বলে সাতক্ষীরার পুলিশ সুপার সাজ্জাদুর রহমান সন্ধ্যায় এক সংবাদ সম্মেলনে জানান।
আটকরা হলেন নাঈমুল ইসলাম নাঈম, আরশাদ পাড় ও বাকের আলী।
শুক্রবার শাহীনের (১৪) মাথা ফাটিয়ে কয়েকজন যুবক তার ভ্যানটি নিয়ে পালিয়ে যায়। শাহীন যশোরের কেশবপুর উপজেলার মঙ্গলকোট গ্রামের হায়দার আলীর ছেলে।
“পরে তার দেওয়া তথ্যমতে আরশাদ পাড় ও বাকের আলীকে আটক করে সাতক্ষীরার পুলিশ।”
এসপি জানান, সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার রায়ার মির্জাপুর মোড়ের আরশাদ পাড় ওরফে নুনু মিস্ত্রির কাছ থেকে ভ্যানটি উদ্ধার করা হয়েছে।
এছাড়া তারা ভ্যানের ব্যাটারি চারটি বিক্রি করেছিল কলারোয়ার ঝাউডাঙ্গা বাজারের বারেক আলীর কাছে। তাই বাকের আলী ও আরশাদ পাড়কে আটক করা হয়েছে, বলেন এসপি সাজ্জাদুর।
তার কাছে ভ্যানটি বিক্রি করে তারা টাকা সমান ভাগে ভাগ করে নিয়েছিল। এ ঘটনায় আরও ৩-৪ জন জড়িত রয়েছে; কিন্তু তদন্ত এবং গ্রেপ্তারের স্বার্থে তাদের নাম প্রকাশ করেননি পুলিশ সুপার।
এসপি সাজ্জাদুর বলেন, গত শুক্রবার সকালে যশোরের কেশবপুরের গোলাখালী মাদ্রাসার সপ্তম শ্রেণির ছাত্র শাহীন ব্যাটারিচালিত ভ্যান নিয়ে রোজগারে বের হয়েছিল।
এসপি বলেন, ঘটনাস্থলে অজ্ঞান হয়ে পড়ে সে। জ্ঞান ফিরলে কাঁদতে থাকলে তাকে উদ্ধার করে এলাকাবাসী সাতক্ষীরার পাটকেলঘাটা থানায় খবর দেয়।
শাহীনকে প্রথমে খুলনার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। শনিবার অবস্থার অবনতি হলে তাকে ঢাকা মেডিকেলে নেওয়া হয়।
এসপি বলেন, শনিবার রাতেই তার মাথায় অপারেশন করা হয়েছে।