পঞ্চগড়ের কলেজছাত্রী ৭ দিনেও উদ্ধার হয়নি

নিখোঁজের সাতদিনেও পঞ্চগড়ের এক কলেজছাত্রীর (১৭) সন্ধান মেলেনি, যাকে অপহরণ করা হয়েছে বলে তার পরিবারের অভিযোগ।

পঞ্চগড় প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 1 July 2019, 12:28 PM
Updated : 1 July 2019, 12:28 PM

মেয়েটিকে অপহরণ করার অভিযোগে তার বাবা গত মঙ্গলবার (২৫ জুন) পঞ্চগড় সদর থানায় একটি মামলা করেছেন।

পঞ্চগড় সদর থানার এসআই ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা রুহুল ইসলাম বলেন, ঘটনার পর থেকেই আসামিরা পলাতক থাকায় তাদের কাউকে গ্রেপ্তার করা যায়নি। তবে কলেজছাত্রীকে উদ্ধারের পাশাপাশি আসামিদের গ্রেপ্তারে তৎপরতাও চলছে।

মামলার বরাত দিয়ে এসআই রুহুল ইসলাম বলেন, ওই তরুণী পঞ্চগড় শহরের একটি কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রী। কলেজে যাতায়াতসহ বিভিন্ন সময় পঞ্চগড় সদর উপজেলার মাগুরা ইউনিয়নের খালপাড়ার লোফাজুল লোফার (৪৫) ছেলে শাহাজাদ হোসেন (২০) মেয়েটিকে প্রেমের প্রস্তাবসহ নানা কু-প্রস্তাব দিত। সম্প্রতি বিষয়টি ওই কলেজছাত্রী তার বাবাকে জানালে তিনি  শাহজাদ ও তার পরিবারকে মৌখিকভাবে সতর্ক করেন।

শাহাজাদ হোসেন শহরের ধাক্কামারা এলাকায় একটি দোকানে কর্মচারী বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে।

এসআই রুহুল বলেন, গত ২৫ জুন সকালে প্রাইভেট পড়তে যাওয়ার পথে পঞ্চগড়-আটোয়ারী সড়কের বাঁশবাড়ি মাদ্রাসার সামনে আসামি শাহাজাদ হোসেন ও তার কয়েকজন সহযোগী ওই ছাত্রীর পথরোধ করেন। তারা ওই ছাত্রীকে অটোভ্যান থেকে নামিয়ে তার মুখ চেপে ধরে একটি মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে যায় বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে।

তিনি জানান, গত শনিবার (২৯ জুন) সদর থানায় ছাত্রীর বাবা অপহরণের অভিযোগে একটি মামলা করেছেন। এতে শাহাজাদ হোসেন (২০) ও তার বাবা লোফাজুল লোফা (৪৫), খালু মো. লাবলু (৩৫) ও তার (খালুর) বাবা নাজিম উদ্দীন (৫০) এবং বন্ধু মো. ইমনকে (২০) আসামি করা হয়েছে।

ওই কলেজ ছাত্রীর বাবা বলেন, “প্রেমের প্রস্তাবে রাজি হয়নি বলেই আমার মেয়েকে অপহরণ করে আটকে রাখা হয়েছে। অপহরণকারী আমার মেয়েকে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে বিয়েসহ অপূরণীয় ক্ষতি করতে পারে। কিন্তু সাতদিন হয়ে গেলেও আমার মেয়ে উদ্ধার হয়নি।”

তিনি দ্রুত মেয়েকে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার ও আসামিদের গ্রেপ্তারসহ দৃষ্ঠান্তমূলক শাস্তির জন্য প্রশাসনের কাছে দাবি জানিয়েছেন।