জেলার পুলিশ সুপার মো. মারুফ হোসেন জানান, শুক্রবার সন্ধ্যার দিকে শুনানি শেষে আদালত এই আদেশ দেয়।
তিনজনের মধ্যে এজাহারভুক্ত হাসান ও চন্দনকে সাত দিন করে আর সন্দেহভাজন নাজমুল হাসানকে তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে আদালত।
বুধবার বরগুনা সরকারি কলেজ ফটকের সামনে একদল লোক রিফাতকে রামদা দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে। এ সময় তার স্ত্রী মিন্নি চেষ্টা করেও তাকে রক্ষা করতে পারেননি। অন্যরা দাঁড়িয়ে দেখলেও কেউ এগিয়ে যায়নি।
ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে দেশব্যাপী সমালোচনার ঝড় ওঠে। উচ্চ আদালত সামাজিক পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে খুনি যেন দেশ ছাড়তে না পারে সেজন্য ব্যবস্থা নিতে বলে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা খুনি ধরতে নির্দেশ দেন।
হত্যার এ ঘটনায় রিফাতের বাবা দুলাল শরীফ বৃহস্পতিবার সকালে ১২ জনকে আসামি করে বরগুনা সদর থানায় মামলা করেন।
বরগুনা থানার ওসি আবির মোহাম্মদ হোসেন জানান, গ্রেপ্তার হাসান মামলার ৯ নম্বর আর চন্দন ৪ নম্বর আসামি। নাজমুল হাসানের নাম এজাহারে নেই। তাকে সন্দেহভাজন হিসেবে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।