পানি বাড়ছে হাওরে, জলাবদ্ধ সুনামগঞ্জ শহর

বর্ষায় হাওর অঞ্চলের পানি বাড়তে শুরু করার সঙ্গে সঙ্গে জলাবদ্ধ হয়ে পড়েছে সুনামগঞ্জ শহর।

কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধিমাহমুদুর রহমান তারেক, বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 28 June 2019, 09:16 AM
Updated : 28 June 2019, 09:29 AM

এছাড়া এ এলাকার নদ-নদীতে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে।

শুক্রবার সকালে সরেজমিনে দেখা গেছে, শহরের বেশ কয়েকটি এলাকায় সুরমা নদীর পাড় উপচে শহরে পানি ঢুকছে। শহরের ষোলঘর, কাজিরপয়েন্ট, আরপিননগর, বিলপার, নতুনপাড়া, তেঘরিয়াসহ বিভিন্ন এলাকায় পানি ঢুকে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি করেছে।

জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আবু বক্কর ছিদ্দীক ভূঁইয়া বলেন, হাওর অধ্যুষিত সুনামগঞ্জে বর্তমানে স্বাভাবিক বর্ষাকাল চলছে। প্রতি বছরই এ সময় প্রচুর বৃষ্টিপাত হয়। নদ-নদীতে পানি বাড়ে। হাওরের জীববৈচিত্র্যের জন্য এ পানি জরুরিও।

“শুক্রবার সকালে ষোলঘর পয়েন্টে সুরমা নদী বিপৎসীমার ৬৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে।  গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে ৪১৫ মিলিমিটার, যা এ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ।”

আর এ বৃষ্টির কারণে জলাবদ্ধতায় দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে পৌরবাসীকে।

বর্ষায় হাওর অঞ্চলের পানি বাড়তে শুরু করার সঙ্গে সঙ্গে জলাবদ্ধ হয়ে পড়েছে সুনামগঞ্জ শহর। শুক্রবার সুরমা নদীর পাড় উপচে শহরে পানি ঢুকে পরে।

শহরের ষোলঘর এলাকার তোফায়েল আহমদ রনি বলেন, শহরের অধিকাংশ পয়োনিষ্কাশন ব্যবস্থা অকেজো হয়ে পড়েছে। ময়লা-আবর্জনায় ভরে গেছে বেশির ভাগ নালা। ফলে সামান্য বৃষ্টি অথবা নদীর পানি বাড়লেই শহরে জলবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। পানি বের হওয়ার জায়গা নাই।

কাজিরপয়েন্ট এলাকার আতিকুল ইসলাম বলেন, “রাস্তার পানি বাথরুম ও রান্নাঘরে ঢুকে গেছে। বাচ্চাকাচ্চা নিয়ে বড় সমস্যায় পড়েছি।”

বর্ষায় হাওর অঞ্চলের পানি বাড়তে শুরু করার সঙ্গে সঙ্গে জলাবদ্ধ হয়ে পড়েছে সুনামগঞ্জ শহর। শুক্রবার সুরমা নদীর পাড় উপচে শহরে পানি ঢুকে পরে।

নালায় ময়লা জমে থাকার কথা স্বীকার করেছেন পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ইয়াসিনুর রশিদ।

তিনি বলেন, “সুরমায় পানি বাড়লে সুনামগঞ্জ শহরে প্রবেশ করা স্বাভাবিক বিষয়। এ পানি দিনের মধ্যেই হাওরে চলে যায়। কিন্তু এ বছর ড্রেনে ময়লা জমে যাওযায় এবং অপরিকল্পিত বাসা-বাড়ি নির্মাণের কারণে সড়কের পানি নামতে পারছে না। ফলে মানুষ কিছুটা ভোগান্তিতে পড়েছে।”

জলাবদ্ধতার কারণ সম্পর্কে প্রকৌশলী আবু বক্কর বলেন, “এত বৃষ্টির পানি নিষ্কাশনের ক্ষমতা পৌরসভার ড্রেনের নেই। ফলে অনেক এলাকায় জলবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকলে পানি আরও বাড়তে পারে।”