পুলিশ সুপার সুব্রত কুমার হালাদার বৃহস্পতিবার রাতে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, জাহিদ হোসেন কনস্টেবল পদে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে মোটা অঙ্কের ঘুষ নিচ্ছে বলে গত ২৪ জুন খবর পান তারা।
ডিআইজি ঢাকা রেঞ্জ ও মাদারীপুর সদর থানা পুলিশের সহযোগিতায় ওই দিনই তাকে তিন লাখ টাকাসহ আটক করে ঢাকা পুলিশ সদর দপ্তরে পাঠিয়ে দেওয় হয়। পরদিন নুরুজ্জামান সুমনকে তিন লাখ টাকাসহ আটক করে ঢাকায় পাঠানো হয়।
এছাড়া ট্রাফিক ইন্সপেক্টর গোলাম রহমান ও স্বাস্থ্য সহকারী পিয়াস বালাকে মাদারীপুর থেকে কিশোরগঞ্জে বদলি করা হয় বলে পুলিশ সুপার জানান।
ঘুষের টাকাসহ গ্রেপ্তারের ওই ঘটনা গত সোমবার ঘটলেও বিষয়টি গোপন রাখে জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ। তাদের কাছ থেকে কোনো তথ্য না পেয়ে স্থানীয় সাংবাদিকরা বৃহস্পতিবার রাতে পুলিশ সদর দপ্তরের এআইজি (মিডিয়া অ্যান্ড পিআর) সোহেল রানার সঙ্গে যোগাযোগ করেন।
চারজনের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার কথা স্বীকার করে সোহেল রানা বলেন, “পুলিশে নিয়োগ দেওয়ার নামে টাকা নেওয়ার অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমুলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। পুলিশ হিসেবে কাউকে ছাড় দেওয়া হয়নি।”
এআইজি সোহেল রানা বিষয়টি স্বীকার করে নিলে বৃহস্পতিবার রাতে সংবাদ সম্মেলনে আসেন পুলিশ সুপার সুব্রত কুমার হালাদার। সেখানে তিনি বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেন।
সাংবাদিকরা পুলিশ সুপারের দেহরক্ষীর টাকাসহ আটক হওয়ার বিষয়ে প্রশ্ন করলে সুব্রত হালাদার বলেন, “যার যার অপরাধের দায়ভার তারই।”