এদিকে, রিফাত হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত দুজনসহ তিনজনকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে।
এরা হলেন এজাহারভুক্ত দুজন হাসান, চন্দন এবং সন্দেহভাজন নাজমুল হাসান।
হাসান ও নাজমুল হাসানকে গ্রেপ্তার করা হয় বৃহস্পতিবার এবং চন্দনকে গ্রেপ্তার করা হয় বুধবার রাতে।
বুধবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বরগুনা শহরের কলেজ রোডে রিফাতকে (২৩) স্ত্রীর সামনেই কুপিয়ে জখম করে একদল যুবক। বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয় ।
এ হত্যার ঘটনায় রিফাতের বাবা দুলাল শরীফ বৃহস্পতিবার সকালে ১২ জনকে আসামি করে বরগুনা সদর থানায় মামলা করেছেন।
বরগুনা থানার ওসি আবির মোহাম্মদ হোসেন জানিয়েছেন, হাসান মামলার ৯ নম্বর আসামি এবং চন্দন ৪ নম্বর আসামি।
এছাড়া নাজমুল হাসানের নাম এজাহারে নেই বলে জানান তিনি।
এদিকে, বৃহস্পতিবার রিফাত শরীফের জানাজায় নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশ নেন।
দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে রিফাতের মরদেহের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়। পরে মরদেহ বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে বরগুনার নিজ বাড়িতে পৌঁছায়। অ্যাম্বুলেন্স বাড়িতে পৌঁছানোর সঙ্গে সঙ্গে স্বজনদের আহাজারিতে পরিবেশ ভারী হয়ে ওঠে।
বরগুনা কামিল (মডেল) মাদরাসা জামে মসজিদের ইমাম ক্বারী মো. সোলায়মানের ইমমতিতে জানাজায় অন্যান্যের মধ্যে বরগুনা জেলা প্রশাসক মোস্তাইন বিল্লাহ, পৌর মেয়র শাহাদাত হোসেন, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবীর, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন প্রমুখ অংশ নেন।
জানাজায় উপস্থিত সবার কাছে রিফাতের পক্ষ থেকে ক্ষমা প্রর্থনা করেন তার বাবা দুলাল শরীফ এবং চাচা আবদুল আজিজ শরীফ।
তারা রিফাতের হত্যাকারীদের দ্রুত আইনের আওতায় আনতে প্রশাসনের প্রতি অনুরোধ জানান।
বুধবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নিকে নিয়ে কলেজ থেকে ফেরার পথে নয়ন, রিফাত ফরাজীসহ একদল যুবক রিফাত শরীফের ওপর হামলা চালায়। তারা ধারালো অস্ত্র দিয়ে রিফাত শরীফকে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকে। রিফাতের স্ত্রী আয়েশা হামলাকারীদের নিবৃত্ত করার চেষ্টা করেন; কিন্তু তাদের থামানো যায়নি। তারা রিফাত শরীফকে উপর্যুপরি কুপিয়ে রক্তাক্ত করে চলে যায়।
বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে তার মৃত্যু হয়েছে বলে জানান চিকিৎসক।