বৃহস্পতিবার সকালে বড়গাছা এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে বলে নাটোর থানার ওসি কাজী জালাল উদ্দিন জানিয়েছেন।
দগ্ধ ছাত্রীরা হলেন নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার নাজিরপুরের শামিমা খাতুন (১৯), লালপুর উপজেলার সালামপুর গ্রামের সানজিদা আক্তার (১৯) ও আব্দুলপুর গ্রামের ফাতেমা আক্তার (১৮)।
তাদের মধ্যে দুইজনকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং একজনকে নাটোর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তারা নাটোর এনএস সরকারি কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রী।
ওসি জালাল উদ্দিন বলেন, সকালে শামীমা নিজের কক্ষে কেরোসিনের চুলায় রান্না করছিলেন। এক পর্যায়ে চুলার তেল ফুরিয়ে গেলে সানজিদা তেল ঢালতে গেলে চুলাটিতে বিস্ফোরণ ঘটে।
“এতে তারা দুজনই অগ্নিদগ্ধ হন। তাদের বাঁচাতে এসে ফাতেমার শরীরেও আগুন ধরে যায়।”
ওসি জানান, তাদের ডাক চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে এসে তাদের উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন।
হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক মাহবুবুর রহমান বলেন, অগ্নিদগ্ধ দুজনের অবস্থা খারাপ। প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার পরপরই তাদের দুজনকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। আহতরা শহরের উত্তর বড়গাছা মহল্লার আবুল কাশেমের জ্যোতি ছাত্রীনিবাসে ছাত্রীরা ভাড়া থাকেন।