বগুড়ায় উপ-নির্বাচন, ভোটার উপস্থিতি কম

বগুড়া-৬ আসনের উপ-নির্বাচনে বিভিন্ন কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি কম দেখা গেছে।

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর শপথ না নেওয়ায় শূন্য হওয়া এই আসনটিতে সোমবার সকাল ৯টা থেকে ১৪১টি কেন্দ্রে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন ইভিএমে ভোট শুরু হয়।

সরেজমিনে জেলা শহরের সেন্ট্রাল স্কুল, জিলা স্কুল, করনেশন স্কুল, প্রি-ক্যাডেট স্কুল, মালতিনগর উচ্চবিদ্যায়, শহরতলির এরুলিয়া উচ্চবিদ্যালয়, ধরমপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ ১৫টি কেন্দ্র ঘুরে ভোটার উপস্থিতি কম দেখা গেছে। নারী ভোটারদের উপস্থিতি ছিল আরও নগণ্য।

দেখা গেছে, নৌকা, ধানের শীষ ও লাঙ্গল প্রতীকের সমর্থকরা পাশাপাশি বসে হাসি-ঠাট্টা করছেন। বিপুল সংখ্যক র‌্যাব-পুলিশ-বিজিবি তাদের পাহারা দিচ্ছে; টহল দিচ্ছে।

লোকজন বলছে, ভোটারের চাইতে ভোট আয়োজনকারীদের সংখ্যা বেশি।

ধরমপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের প্রিজাইডিং কর্মকর্তা সাজ্জাদ হোসেন বলেন, বেলা ১২টায় তার কেন্দ্রের তিন হাজার ৪০০ ভোটারের মধ্যে ভোট দিয়েছেন ৭৬ জন।

জিলা স্কুল কেন্দ্রের প্রিজাইডিং কর্মকর্তা আবুল হোসেন জানান, তার কেন্দ্রে এক হাজার ৯৭৭ জন ভোটারের মধ্যে বেলা সাড়ে ১০টা পর্যন্ত ভোট দিয়েছেন ৯৭ জন।

জিলা স্কুল কেন্দ্র থেকে ভোট দিয়ে এসে তোফাজ্জল হোসেন নামে এক ব্যক্তি বলেন, ইভিএমে ভোট দিতে কোনো অসুবিধা হয়নি। অল্প সময়ে ভোট দিয়েছি।

বিনা রানী নামে এক নারীও একই কথা বললেন।

সূত্রপুরের গৃহবধূ আরেফাতুল জান্নাত বলেন, তিনি খবর পেয়েছেন পরিবেশ ভাল। তাই দুপুরের পর ভোটকেন্দ্রে যাবেন।

বিএনপি প্রার্থী গোলাম মো. সিরাজ গিয়েছিলেন শহরের করনেশন স্কুল কেন্দ্র পরিদর্শনে।

তিনি বলেন, “এখন পর্যন্ত শান্তিপূর্ণভাবে ভোট চলছে। আশা করছি শান্তিপূর্ণভাবে ভোট গ্রহণ শেষ হবে। যত বেশি ভোটার উপস্থিতি হবে ততই ধানের শীষের ভোট বাড়বে। শান্তিপূর্ণ ভোট হলে বিজয়ী হব।”

আওয়ামী লীগ প্রার্থী টি জামান নিকেতা সকাল সাড়ে ১০টায় বগুড়া জিলা স্কুলকেন্দ্রে সাংবাদিকদের বলেন, “জয়ের ব্যাপারে আমি খুবই আশাবাদী। বগুড়ার উন্নয়নে ভোটাররা নৌকা মার্কা বেছে নেবেন বলে মনে করি।”

জেলার জ্যেষ্ঠ নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মাহবুব আলম শাহ বলে, পরিস্থিতি সম্পূর্ণ স্বাভাবিক। কোথাও কোনো গোলযোগের অভিযোগ পাওয়া যায়নি।

সকালের দিকে ভোটর উপস্থিতি কম থাকলেও ক্রমেই বাড়ছে বলে তিনি জানিয়েছেন।