শনিবার নবীনগর উপজেলার কৃষ্ণনগর ইউনিয়নের গোসাইপুর থেকে পুলিশ বসু মিয়ার (৫০) ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে।
বসু মিয়া সদর উপজেলার নাটাই দক্ষিণ ইউনিয়নের শালগাঁও গ্রামের মৃত মলাই মিয়ার ছেলে।
বসু মিয়ার ছেলে তার শ্যালিকাকে বাড়ি এনে ধর্ষণের পর হত্যা করেছেন বলে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছেন।
নবীনগর থানার এসআই রনি রানা বলেন, বসু মিয়া শুক্রবার রাত ৮টার দিকে গোসাইপুরে তার খালাত ভাই শহিদ মিয়ার বাড়ি বেড়াতে আসেন। সকালে বাড়ির পাশের একটি গাছে তার ঝুলন্ত মরদেহ দেখে পরিবারের লোকজন পুলিশে খবর দেন।
এসআই রনি রানা বলেন, “ছেলের এই অপকর্মের গ্লানি সইতে না পেরে বসু মিয়া আত্মহত্যা করেছেন।”
মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে বলে তিনি জানান।
নাঈম ও বসু মিয়া জেলা শহরে নৈশ প্রহরীর কাজ করেন।
বসুমিয়ার ছেলে নাঈমের স্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, তার স্বামী গত সোমবার বাবার বাড়িতে খবর দিয়ে তার (স্ত্রীর) বোনকে বেড়াতে আসতে বলেন। বুধবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে নাঈম আমের জুস নিয়ে তাদের মেয়েকে খাওয়ান। জুস খেয়ে মেয়ে ঘুমিয়ে পড়ে। এরপর স্ত্রীর বোনকেও জুস খেতে বললে সে খায়নি; কিন্তু তার স্ত্রী খেয়েছেন বলে স্ত্রীর ভাষ্য।
তিনি বলেন, জুস খাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তিনি অচেতন হয়ে পড়েন। সকালে ঘুম থেকে উঠে ছোটো বোনকে ডাক দিলেও সে কোনো সাড়া দেয়নি। এরপর তার কাছে গিয়ে দেখেন তার শরীর রক্তাক্ত। এরপর নাঈম বাড়ি থেকে পালিয়ে যান।
নাঈম ধর্ষণের পর তার বোনকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছেন বলে অভিযোগ করেন তার স্ত্রী।