প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে অনিয়ম, মাগুরায় শিক্ষকের কারাদণ্ড

প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় অনিয়মের অভিযোগে মাগুরায় এক শিক্ষককে এক মাসের কারাদণ্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 21 June 2019, 04:33 PM
Updated : 21 June 2019, 04:38 PM

এছাড়া প্রশ্নপত্র ফাঁস ও পরীক্ষার হলে মোবাইল ফোন ব্যবহারের অভিযোগে বিভিন্ন জেলায় অন্তত ১৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

শুক্রবার দেশের বিভিন্ন পরীক্ষাকেন্দ্রে এসব ঘটনা ঘটে। বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর:

মাগুরা

অনিয়মের অভিযোগে জাহাঙ্গীর আলম খান নামে এক শিক্ষককে কারাদণ্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।

মাগুরার স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক উপ-সচিব  মাহবুবুর রহমান জানান, মাগুরা সরকারি বালক উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্রে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা শেষ হওয়ার কিছু সময় আগে মইনুল হাসান নামে এক পরীক্ষার্থীর উত্তরপত্র শিক্ষক জাহাঙ্গীর আলম খান পূরণ করে দেন।

“ওই পরীক্ষার্থী তার ছোট ভাই। পরীক্ষা চলাকালে শিক্ষক জাহাঙ্গীর আলম দায়িত্ব পালন করছিলেন মইনুলের পাশের কক্ষে। অন্য পরীক্ষার্থীরা কেন্দ্র পরিদর্শনে নড়াইল থেকে আসা ম্যাজিস্ট্রেট শাহিনা নাসরিনের কাছে অভিযোগ করেন। সাক্ষ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে ভ্রাম্যমাণ আদালত জাহাঙ্গীর আলমকে এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন।”

ঝিনাইদহ

ঝিনাইদহে ভুয়া প্রশ্নপত্র কেনাবেচার অভিযোগে ছয়জনকে আটক করেছে পুলিশ।

জেলার পুলিশ সুপার মো. হাসানুজ্জামান বলেন, “শহরের আরাপপুরে আব্দুল মজিদের বাসায় সহকারী প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র কেনাবেচা হচ্ছে এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সেখানে অভিযান চালানো হয়। মোবাইল ফোনে ফেসবুক মেসেঞ্জারের মাধ্যমে আসা প্রশ্ন ও উত্তরপত্র বিক্রি করা হচ্ছিল ২০ হাজার টাকা করে। এখানে ছয়জনকে আটক করা হয়।

“ঘটনাস্থল থেকে ছয়জনকে আটক ও মোবাইল ফোনটি উদ্ধার করা হয়। সেখান থেকে প্রশ্নপত্র কেনাবেচার ৬০ হাজার টাকাও উদ্ধার করা হয়। পরীক্ষা শেষে জেলা প্রশাসনের  নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট খায়রুল ইসলাম আসল প্রশ্নপত্রের সঙ্গে বিক্রি হওয়া প্রশ্নপত্র যাচাই করে কোনো মিল পাননি।”

এ ঘটনায় ঝিনাইদহ সদর থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে তিনি জানান।

কুড়িগ্রাম

কুড়িগ্রামে আটক হয়েছেন আরও ছয়জন।

জেলা প্রশাসক মোসাম্মৎ সুলতানা পারভীন বলেন, “পরীক্ষার হলে মোবাইল ফোন ব্যবহার করার অপরাধে সদর উপজেলার নওরিন আক্তার, আতিকা তাসমিন, ফুলবাড়ী উপজেলার শাহানা খাতুন, মকবুল হোসেন, আনিছুর রহমান, গোলাম মোস্তফাকে দায়িত্বরত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন।

“নিরপেক্ষ ও দুর্নীতিমুক্তভাবে এ নিয়োগ কার্যক্রম পরিচালনায় কঠোর নির্দেশনা রয়েছে সরকারের।”

ফেনী

পরীক্ষার আগে প্রশ্নপত্র ফাঁসের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ আলতাফ উদ্দিন রিয়াদ (২৭) ও শহিদুল ইসলাম শাকিল (২৫) নামে দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে।

সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাম্মদ সাজেদুল ইসলাম বলেন, “গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আগের রাতে প্রশ্নপত্র ফাঁস চক্রের সঙ্গে জড়িত অভিযোগে দুইজনকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। এ সময় তাদের মোবাইল ফোন থেকে নমুনা প্রশ্নপত্র পাওয়া গেছে। তারা পরীক্ষার্থীদের কাছে ওইসব প্রশ্ন বিক্রির সময় হাতেনাতে ধরা পড়েন।”