লামা থানার ওসি আপ্পেলু রাজু নাহা জানান, বুধবার পরিবেশ সংরক্ষণ আইনে এ দুই মামলা দায়ের করেছেন বান্দরবান পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিদর্শক নাজনীন সুলতান নীপা।
উপজেলার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের বনফুর অংশের জন্য করা মামলায় নয় জনকে এবং ইয়াংছা অংশের মামলায় ১৬ জনকে আসামি করা হয়েছে।
এছাড়া দুই মামলায় অজ্ঞাতনামা আরও ১২ জনকে আসামি করা হয়েছে বলে ওসি জানান।
বনফুর অংশের আসামিরা হলেন মো. মহিউদ্দিন (৪১), জামাল উদ্দিন ফকির (৫৫), হুমায়ন কবির (৫০), ওমর হামজা (৪৮), মনু মেম্বার (৫৫), মো. এনাম (৪০), মো. ফরহাদ (৪২), মুছলে উদ্দিন (৪৮) ও গিয়াস উদ্দিন (৪৫)।
নাম না প্রকাশের শর্তে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা অভিযোগ করেন, মামলায় বড় ব্যবসায়ীদের নাম বাদ পড়েছে। এছাড়া ইয়াংছা ও বনফুর এলাকা থেকে ৫ লক্ষ ঘনফুট মজুদ পাথর ব্যবসায়ীরা নিয়ে যাচ্ছে।
পরিবেশ অধিদপ্তরে পরিদর্শক নাজনীন সুলতানা নীপা বলেন, ১২ জুন থেকে ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে উপজেলা প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তর যৌথ উদ্যোগে পাথর উত্তোলনের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করা হয়।
পরিবেশ অধিদপ্তর বান্দরবানের সিনিয়র কেমিস্ট এ কে এম ছামিউল আলম কুরসি বলেন, “অভিযান ও মামলার কার্যক্রম চলমান থাকবে। অবৈধ পাথর উত্তোলন ও পাচারের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগ পেলে তদন্ত করে তাদের বিরুদ্ধেও পরিবেশ আইনে মামলা করা হবে।”