রাজশাহীতে পদ্মায় নৌ-পুলিশের যাত্রা শুরু

রাজশাহীতে পদ্মা নদীতে নৌ-পুলিশের যাত্রা শুরু হয়েছে। দশ সদস্যের জনবল নিয়ে পবা ও গোদাগাড়ী উপজেলায় দুটি নৌ-পুলিশ ফাঁড়ি স্থাপন করা হয়েছে।

বুধবার রাত থেকে পবা নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির সদস্যরা পদ্মা নদীতে প্রথম অভিযান চালায়। এ সময় বেশ কিছু অবৈধ কারেন্ট উদ্ধার করে তারা।

পদ্মা নদীতে মাদক ও অস্ত্র চোরাচালান, জাটকা ধরা, নিষেধাজ্ঞার সময় মা ইলিশ নিধন এবং অবৈধ জালের ব্যবহার ঠেকাতে পদ্মা নদীতে কাজ করবে নৌ-পুলিশ।

পবা নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক মেহেদী মাসুদ বলেন, তারা প্রথম চর খিদিরপুর এলাকায় পদ্মা নদীতে অভিযান পরিচালনা করেন। এ সময় এক লাখ নয় হাজার টাকার অবৈধ জাল জব্দ করা হয়।

“এর মধ্যে প্রায় এক লাখ টাকা মূল্যের ছিল আড়াই হাজার মিটার বেড়জাল এবং নয় হাজার টাকা মূল্যের ৩০০ মিটার কারেন্ট জাল।”

জালগুলো পুড়িয়ে বিনষ্ট করা হয়েছে। তার নেতৃত্বে এ অভিযানে পবা উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা আবু বক্কর সিদ্দিকও ছিলেন বলে তিনি জানান।

মেহেদী মাসুদ বলেন, পবা নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির কার্যালয় করা হয়েছে রাজশাহী মহানগরীর উপকণ্ঠ বসড়ি এলাকার বাঁধের পাশে। আর গোদাগাড়ীতে ফাঁড়ির কার্যালয় করা হয়েছে উপজেলার রেলবাজার এলাকায়।

পবা নৌ-পুলিশ ফাঁড়িতে বর্তমানে একজন পরিদর্শক, একজন সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) ও পাঁচজন কনস্টেবল রয়েছেন। আর গোদাগাড়ীতে একজন পরিদর্শক, একজন এএসআই ও একজন কনস্টেবল দেওয়া হয়েছে। সম্প্রতি তারা নৌ-পুলিশ ফাঁড়িগুলোতে যোগ দিয়েছেন বলে মাসুদ জানান।

নৌ-পুলিশের সদর দপ্তর ঢাকার মিরপুরে। তবে এই বাহিনীর রাজশাহী অঞ্চল টাঙ্গাইলের আঞ্চলিক কার্যালয় থেকে পরিচালিত হবে। সেখানে একজন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এএসপি) দায়িত্বে রয়েছেন; তার নির্দেশনা মোতাবেক রাজশাহীর নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির সদস্যরা কাজ করবে বলে মাসুদ জানান।

রাজশাহীতে নৌ-পুলিশের যাত্রা শুরু করার প্রক্রিয়া শুরু হয় গত বছরের অক্টোবরে।

পরিদর্শক মেহেদী মাসুদ জানান, রাজশাহীতে নৌ-পুলিশের পরিধি হবে গোদাগাড়ী থেকে চারঘাট উপজেলা পর্যন্ত পদ্মা নদী। এ জন্য চারঘাট ক্যাডেট কলেজের কাছে আরও একটি নৌ-পুলিশ ফাঁড়ি স্থাপনের প্রক্রিয়া চলছে। এছাড়া রাজশাহী পুলিশ লাইনের সামনে পদ্মা নদীর তীরে একটি থানা স্থাপনেরও পরিকল্পনা রয়েছে। এ নিয়ে দাপ্তরিক কার্যক্রম এগিয়ে চলছে বলেও জানান তিনি।

নৌ-পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, পর্যায়ক্রমে তাদের জনবল বাড়ানো হবে। এই মুহূর্তে তারা নৌকা ভাড়া করে কাজ শুরু করেছেন। তবে শিগগিরই তারা স্পিড বোট এবং নৌকাও পাবেন। তখন তারা আরও বেশি কাজ করতে পারবেন।

যতদিন নিজস্ব থানা না হচ্ছে ততদিন যে থানা এলাকায় অভিযান চালানো হবে সে থানাতেই নৌ-পুলিশ আইনগত ব্যবস্থা নেবে বলে মাসুদ জানান।