বৃহস্পতিবার কোচিং শেষে বাড়ি ফেরার পথে যশোর-সাতক্ষীরা মহাসড়কের বিজয়রামপুর খইতলা মোড়ে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত আশিকুর ও আল-আমিন মনিরামপুর উপজেলার ধলিগাতি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্র; তারা দশম শ্রেণির প্রথম ও দ্বিতীয় স্থানের ছাত্র।
আশিকুর ধলিগাতি গ্রামের খাইরুল বাশারের ছেলে এবং আল-আমিন জামলা গ্রামের আবুল কালামের ছেলে।
মেধাবী দুই সহপাঠীর মৃত্যুর খবরে শিক্ষার্থী-শিক্ষকসহ এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
মনিরামপুর থানার এসআই শাহ আবদুল জলিল এবং নিহত আশিকুর রহমানের চাচা নজরুল ইসলাম জানান, সকাল ৮টার দিকে মনিরামপুর পৌরশহরের একটি কোচিং সেন্টার থেকে পড়া শেষে আশিক ও আল-আমিন একটি বাইসাইকেলে বাড়ি ফিরছিলেন।
“সাড়ে ৮টার দিকে মণিরামপুর পৌর এলাকার বিজয়রামপুর খইতলা মোড়ে পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা ঢাকাগামী হানিফ পরিবহনের একটি বাস (ঢাকা মেট্রো- গ-১৪-৭৪৮৩) তাদেরকে চাপা দিয়ে চলে যায়।”
এদিকে বাসচাপায় দুই সহপাঠীর মৃত্যুর প্রতিবাদে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী এবং এলাকাবাসী ক্ষুব্ধ হয়ে তাৎক্ষণিক যশোর-সাতক্ষীরা মহাসড়কের সুন্দলপুর বাজারে কাঠের গুড়ি ফেলে ঘণ্টাব্যাপী সড়ক অবরোধ করে। এ এসময় সড়কের দুপাশে শতাধিক যানবাহন আটকা পড়ে। পরে সকাল ১০টার দিকে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েনের পর পরিস্থিতি শান্ত হয়।
ধলিগাতী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দিলীপ কুমার পাল জানান, নিহত আশিক দশম শ্রেণির মেধা তালিকায় প্রথম এবং আল-আমিন দ্বিতীয়।
মনিরামপুর থানার ওসি রফিকুল ইসলাম জানান, এ ঘটনায় নিহত আশিকুরের ভাই আতাউর রহমান বাদী হয়ে চালকের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেছেন। তবে তাকে এখনও আটক করা যায়নি।