বুধবার বগুড়ায় নির্বাচন উপলক্ষে আইনশৃঙ্খলা বিষয়ক সভায় তিনি বলেন, “স্থানীয় সরকার নির্বাচনে যতটুকু সম্ভব ইভিএমের মাধ্যমে নির্বাচন করা হবে। আর ভবিষ্যতে সকল নির্বাচনই ইভিএমে করা হবে। তার জন্য আইনগত কাঠামো তৈরি হয়েছে।”
সভায় নির্বাচনী দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সভা শেষে সিইসি সাংবাদিকদের আলাদাভাবে বিফ্রিং করেন।
আগামী ২৪ জুন বগুড়া-৬ (সদর) আসনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। ওই নির্বাচনে ইভিএমের মাধ্যমে ভোট গ্রহণ করা হবে। এজন্য নির্বাচনী দায়িত্বপ্রাপ্ত সব কর্মকর্তাকে এরই মধ্যে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।
নির্বাচনে আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জাতীয় পার্টিসহ পাঁচটি রাজনৈতিক দল এবং দুই স্বতন্ত্র প্রার্থী মিলে মোট ৭ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
নুরুল হুদা বলেন, ইভিএম নতুন পদ্ধতি হলেও এতে ভোট প্রদান খুব সহজ। স্বচ্ছভাবে ভোট দেওয়া যায়। ভোট শেষে এক দেড়-ঘণ্টার মধ্যে ফলাফল দেওয়া সম্ভব। আগের মতো রাত জেগে ফলাফলের জন্য অপেক্ষা করতে হবে না।
এই নির্বাচনে সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হবে না জানিয়ে সিইসি বলেন, বগুড়ায় নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রয়েছে। এই নির্বাচনে সেনাসদস্য মোতায়েন করা হবে না। তবে বুথগুলোতে ইভিএমের টেকনিক্যাল পার্সন হিসেবে সেনা সদস্যরা থাকবেন। তারা নির্বাচনের দায়িত্ব পালন করবেন না। ইভিএমে কোনো সমস্যা হলে তারা দেখবেন।
সিইসি বলেন, বগুড়ার নির্বাচনী পরিবেশ অনুকূলে রয়েছে এবং সার্বিক পরিস্থিতি ভালো। এখানকার নির্বাচন পরিবেশ এবং প্রার্থীদের আচরণবিধি মেনে চলার প্রবণতা অনেক ভালো। সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখার সকল কৃতিত্ব ভোটার ও প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীসহ তাদের কর্মী সর্মথকদের।
প্রার্থী ও তাদের কর্মী সর্মথকসহ ভোটররা যদি নির্বাচনী আচরণবিধি মেনে চলেন তাহলে নির্বচানী কর্মকর্তাদের ভার অনেক কমে যায় বলে তিনি মনে করেন।
বগুড়া জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত ওই মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার নূর উর রহমান। মতবিনিময় সভায় নির্বাচন কমিশন সচিব আলমগীর হোসেন, বগুড়ার জেলা প্রশাসক ফয়েজ আহাম্মদ, পুলিশ সুপার আলী আশরাফ ভূঞাসহ র্যাব, বিজিবি, আনসারের স্থানীয় কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।