মঙ্গলবার রাতে যশোর কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালে এই ঘটনা ঘটে।
নিহত সানি হোসেন (৩০) শহরের শংকরপুর মুরগি ফার্ম এলাকার ধনু মিয়ার ছেলে।
আহতরা হলেন শংকরপুরের ফারুক হোসেনের ছেলে হৃদয় হাসান নয়ন (৩০) ও অশোক কুমারের ছেলে আনন্দ (৩০)।
নয়নকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। শংকরকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীর বরাত দিয়ে যশোর কোতোয়ালি থানার ওসি অপূর্ব হাসান বলেন, সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল মসজিদের সামনে বসেছিলেন নয়ন, আনন্দসহ তার কয়েকজন বন্ধু।
“ওই সময় দুটি মোটরসাইকেলযোগে সানিসহ কয়েকজন যুবক সেখানে গিয়ে একটি বোমার বিস্ফোরণ ঘটায়। বোমার স্প্লিন্টারে নয়ন ও তার বন্ধু আনন্দ জখম হন।”
ওসি বলেন, এরপর নয়নের অপর সঙ্গীসহ টার্মিনালে থাকা লোকজন ধাওয়া দিয়ে সানিকে পাকড়াও করেন। অন্যরা পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। পরে বোমায় আহত নয়ন ও আনন্দকে উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালে পাঠায়।
ওসি জানান, জনতার পিটুনিতে সানি গুরুতর আহত হন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। হাসপাতালে ভর্তির কিছুসময় পর তার মৃত্যু হয়।
যশোর জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসক অহেদুজ্জামান আজাদ বলেন, হাসপাতালে আনার পর তাকে অক্সিজেনসহ প্রয়োজনীয় সাপোর্ট দিলেও সানি তা রিসিভ করেনি। রাত পৌনে ৯টার দিকে তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়।
“আহত নয়নের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে ঢাকায় স্থানান্তর করা হয়েছে। আনন্দ চিকিৎসাধীন রয়েছে। তার অবস্থাও শঙ্কামুক্ত নয়।”
ওসি অপূর্ব হাসান বলেন, পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা করা না হলে পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করবে।