অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর) ইফতে খায়ের আলম বলেছেন, “ওই কিশোর তার জবানবন্দিতে বলেছে, সমকামে বাধ্য করায় সে পরিবহন শ্রমিক নেতা নূরুল ইসলামকে হত্যা করে।”
হত্যার ঘটনায় তার মেয়ে অজ্ঞাত আসামিদের বিরুদ্ধে পুঠিয়া থানায় মামলা করেন।
তদন্তে নেমে পুলিশ গত ১৬ জুন রামজীবনপুর এলাকার ১৬ বছর বয়সী ওই কিশোরকে আটক করে।
পুলিশ কর্মকর্তা ইফতে খায়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলেন, “ঘটনাটি গুরুত্বসহকারে বিবেচনায় নিয়ে গোয়েন্দা পুলিশ তদন্ত শেষে ওই কিশোরকে আটক করে। সোমবার সে রাজশাহীর বিচারিক হাকিমের আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়।”
কিশোরকে জিজ্ঞাসাবাদের তথ্য দিয়ে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “এলাকার পরিচিত ব্যক্তি হিসেবে নূরুলকে ওই কিশোর নানা বলে সম্বোধন করত। টাকার প্রলোভন দিয়ে নূরুল তাকে সমকামে রাজি করান। এতে অনিচ্ছা প্রকাশ করলে নূরুল তাকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করতেন।
“তারপর গত ১০ জুন রাত ৯টার দিকে নূরুল তাকে ওই ইটভাটায় নিয়ে যান। এক পর্যায়ে নূরুল ভাটার ওপর থেকে নিচে পড়ে যান। এ সময় ওই কিশোর তার গলা টিপে ধরে। তারপর ইট দিয়ে মাথায় আঘাত করে নূরুলকে রক্তাক্ত অবস্থায় ফেলে রেখে বাসায় চলে যায়।”
ইফতে খায়ের বলেন, “নূরুল ইসলামের আগে থেকেই সমকামিতার বদঅভ্যাস ছিল। এলাকার বিভিন্নজনকে এ কাজে সে ব্যবহার করত। এ মামলায় সাক্ষী হিসেবে ১৬৪ ধারায় আদালতে তিনজন জবানবন্দি দিয়েছেন। সোমবার আদালতে তাদেরও জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়েছে।”