সোমবার দুপুরে সদর উপজেলার শাখারিয়া ইউনিয়নের পাঁচবারীয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মালয়েশিয়া প্রবাসী বিএনপি কর্মী মিনহাজ মন্ডল এই নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন। এ কারণে তার ভাই শাখারিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এখলাস লোকজন নিয়ে তার পক্ষে প্রচারে কাজ করছেন।
ঘটনাস্থলে সরেজমিনে দেখা যায়, দুপুরে বিএনপির প্রার্থী গোলম মো. সিরাজ নেতাকর্মীদের নিয়ে মিনহাজের গ্রামে প্রচারে যান। এ সময় মিনহাজের নেতৃত্বে বিএনপির প্রার্থীর প্রচারে বাধা দেন। এ সময় উভয়পক্ষের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। এক পর্যায়ে মিনহাজ ও তার ভাই এখলাস এগিয়ে আসেন।
এ সময় মিনহাজের সমর্থকরা হকিস্টিক ও লাঠি নিয়ে বিএনপি নেতাকর্মীদের উপড় হামলা চালায়। এসময় বিএনপি পাঁচ কর্মী আহত হয় এবং মিনহাজের সমর্থকরা দুটি মাইক্রোবাস ও ৪টি মোটরসাইকেল ভাংচুর করে।
পরে বিএনপি কর্মীরা তাদের উপড় চড়াও হয়। বিএনপি কর্মীদের লাঠির আঘাতে মিনহাজের পক্ষের চারজন আহত হয়।
“এক পর্যায়ে নতুন হকিস্টিক ও লাঠি নিয়ে বিএনপির প্রচারে হামলা চালায়। এতে ধানের শীষের কর্মী শ্রমিকদল নেতা আব্দুল্লাহ আল মামুন, ছাত্রদল নেতা সিপাত আল আমিন, আরিফুর রহমান আরিফ এবং আপেল মার্কার কর্মী মাসুদ ও সম্রাটকে গুরুতর আহত হন।”
স্বতন্ত্র প্রার্থী মিনহাজ বলেন, “কোনো উস্কানি ছাড়াই ধানের শীষের কর্মীরা আমার নির্বাচনী অফিসে হামলা চালায় এবং পাঁচবাড়িয়া গ্রামে লাগানো আপেল মার্কার পোস্টার-ব্যানার ছিড়ে আগুন ধরিয়ে দেয়। এসময় আমার কর্মীরা বাধা দিলে সংর্ঘষ শুরু হয়।”
এতে তার চারজন কর্মী আহত হয়েছেন বলে তিনি দাবি করছেন।
বগুড়া সদর থানার পরির্দশক (তদন্ত) রেজাউল করিম জানান, ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। পরিস্থিতি শান্ত করা হয়েছে। বিএনপি অফিসকে আপেল মার্কার নির্বাচনী অফিস বানানো নিয়ে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়।