ফেনীতে স্কুলছাত্র হত্যায় সহপাঠীসহ ৪ জনের যাবজ্জীবন

ফেনীতে স্কুলছাত্র শুভ হত্যার দায়ে তার সহপাঠীসহ চারজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।

নাজমুল হক শামীম ফেনী প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 17 June 2019, 03:28 PM
Updated : 17 June 2019, 03:28 PM

এ হত্যাকাণ্ডের চার বছর পর সোমবার ফেনীর জেলা ও দায়রা জজ সাঈদ আহমেদ এ রায় দেন।

একইসঙ্গে দণ্ডিতদের প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা জরিমানাও দিতে হবে, যা অনাদায়ে আরও ছয়মাস করে কারাভোগ করতে হবে।

দণ্তিরা হলেন ফেনীর পরশুরাম উপজেলার পূর্ব অলকা গ্রামের চাঁন মিয়ার ছেলে আবদুর রহিম (১৯), মো. মোস্তফার ছেলে ওমর ফারুক (২২), বেলাল উদ্দিন ভূঁইয়ার ছেলে নূর আলম ছমির ভূঁইয়া (২০) ও স্বপন ভূঁইয়া (২২)।

দণ্ডিত ওমর ফারুক ও আবদুর রহিম গ্রেপ্তার থাকলেও জামিনে গিয়ে পালিয়ে যান নুরুল আলম ছমির ভূইয়া ও স্বপন ভূঁইয়া।

২০১৫ সালের ২৯ জুন পরশুরাম উপজেলা শহরের পশ্চিম অনন্তপুর গ্রামের সাধন বৈদ্যের ছেলে শুভ বৈদ্য (১৬) নিহত হন।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ফেনী জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) হাফেজ আহম্মদ জানান, ২০১৫ সালের ২৯ জুন পশ্চিম অনন্তপুর গ্রামের বাড়ি থেকে শুভ বৈদ্যকে মোবাইল ফোনে ডেকে নিয়ে অপহরণ করে তার স্কুলের কয়েকজন সহপাঠী। ছেলেকে না পেয়ে পরদিন পরশুরাম থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন তার বাবা।

“এদিকে অপহরণকারীরা এক লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। এক পর্যায়ে অপহরণকারীরা দাবি করা চাঁদা না পাওয়ায় ১ জুলাই রাতে পূর্ব অলকা গ্রামের রমেশ বৈদ্যের পুকুর পাড়ে গাছের সঙ্গে বেঁধে ফাঁস দিয়ে শ্বাসরোধ করে শুভকে হত্যা করে।”

এ ঘটনায় শুভর বাবা সাধন বৈদ্য বাদী হয়ে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।

পিপি) হাফেজ আহম্মদ জানান, মামলার তৎকালীন তদন্ত কর্মকর্তা এসআই রহমত উল্যাহ খান মোবাইল ফোনের সূত্র ধরে ৪ জুলাই রাতে হত্যায় জড়িত সন্দেহভাজন চার জনকে আটক করেন।

“আটক চারজনের মধ্যে আবদুর রহিম ও ওমর ফারুক ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আদালতে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা চার আসামিকে আসামি করে আদালতে চার্জশিট জমা দেন।”