সোমবার খুলনার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ইয়ারব হোসেন এ রায় ঘোষণা করেন বলে জানান আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এম ইলিয়াছ খান।
একই সঙ্গে তাদের প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা করে জরিমানাও দিতে হবে, যা অনাদায়ে তাদের আরও ছয় মাস সশ্রম কারাভোগ করতে হবে।
দণ্ডিতরা হলেন মিজানুর রহমান ওরফে মন্টু (২৮), আমির সরদার (২৫), মিজানুর রহমান ওরফে চ্যাংড়া মিজান (২২), হাসান গাজী (২৪) ও লুৎফর শেখ (৩০)।
রায় ঘোষণার সময় দণ্ডিত সবাই আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
২০০৬ সালের ২৫ ডিসেম্বর রাতে পাইকগাছার খ্রিস্টানপাড়া থেকে নিখোঁজ হন উপজেলা সদরের ইদ্রিস আলীর ছেলে হারুন-অর রশিদ (২২)।
ছয়মাস পর ২০০৭ সালের ১০ জুন পাইকগাছার উত্তরপাড়া রেজিস্টার্ড বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সেফটি ট্যাংকে তার গলিত লাশ পাওয়া যায়।
মামলার নথির বরাত দিয়ে আইনজীবী ইলিয়াছ জানান, ২০০৬ সালের ২৫ ডিসেম্বর রাতে তিন বন্ধুর সঙ্গে গান শুনতে খ্রিস্টানপাড়া গিয়েছিলেন হারুন। এরপর থেকে তিনি নিখোঁজ থাকেন। এর ছয়মাস পর ২০০৭ সালের ১০ জুন সকালে উপজেলার উত্তরপাড়া রেজিস্টার্ড বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সেফটি ট্যাংক থেকে তার গলিত লাশ উদ্ধার হয়।
এ ঘটনায় তার মা রিজিয়া বেগম বাদী হয়ে পাইকগাছা থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। ওই বছরের ২৭ জুন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও পাইকগাছা থানা পুলিশের এসআই আইবুল হক আদালতে পাঁচজনকে আসামি করে অভিযোগপত্র দেন। মামলায় ২২ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৫ জন সাক্ষ্য দিয়েছেন।