সোমবার নীলফামারী সদর হাসপাতালে গিয়ে দেখা গেছে, রোগীর চাপে অনেকেরই ঠাঁই হয়েছে হাসপাতালের মেঝে ও বারান্দায়। আর শিশু ওয়ার্ডের প্রতিটি শয্যায় আছে তিন থেকে চারজন।
সিভিল সার্জন রণজিৎ বলেন, সদর হাসপাতালে ধারণক্ষমতার চেয়ে প্রায় তিন গুণ বেশি রোগী ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন। এর বাইরে রোববার বর্হিবিভাগে চিকিৎসা নিয়েছেন ৮৩০ জন।
রোগীর চাপ সামলাতে হাসপাতালের লোকজন হিমশিম খাচ্ছে। আবার রোগীরাও সব ওষুধ না পেয়ে অসন্তুষ্ট।
সদর উপজেলার চওড়াবড়গাছা ইউনিয়নের কাঞ্চনপাড়া গ্রামের কলেজ শিক্ষার্থী মুক্তা আক্তার (১৭) বলেন, তিনি প্রচণ্ড জ্বর, পাতলা পায়খানা আর বমি হওয়ায় হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
“কয়েক দিন আগে আমার মায়েরও একই অবস্থা হয়েছিল। এর আগে হালকা জ্বর ও কাশি ছিল।”
হাসপাতালের চিকিৎসক মো. রুহুল আমীন বলেন, “প্রচণ্ড গরমে শরীর থেকে প্রচুর ঘাম ঝরছে। এজন্য পানির পিপাসা বেশি হয়। পিপাসা মেটাতে গিয়ে অনেকে ঠাণ্ডা পানি খাচ্ছে। এজন্য সর্দি-কাশি আর জ্বর হচ্ছে। এসব থেকে শ্বাসকষ্ট হচ্ছে অনেকের। পাশাপাশি অপরিষ্কার অবস্থায় খাবার খাওয়া ও দূষিত পানি পানে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছেন অনেকে। এসব রোগে আক্রান্ত হয়ে শিশুসহ সব বয়সের মানুষ হাসপাতালে আসছে।”
এদিকে ৫০ শয্যার জনবল দিয়ে বাড়তি রোগীদের সেবা দিতে হচ্ছে।
সিভিল সার্জন রণজিৎ বলেন, “জনবল ও হাসপাতালের আসন সংকটে রোগীর চাপ সামাল দিতে কষ্ট হচ্ছে। প্রতিদিন ভর্তি থাকছে দুই শতাধিক রোগী। আউটডোরে আট শতাধিক রোগীকে চিকিৎসা দিতে হচ্ছে। বর্তমানে ১০০ শয্যার ওষুধ ও খাবার বরাদ্দ থাকলেও জনবল কাঠামো ৫০ শয্যার। ৫০ শয্যার জন্য ২২ জন চিকিৎসক থাকার কথা থাকলেও রয়েছেন ১৫ জন।”
রোববার নীলফামারীর সৈয়দপুরে সর্বচ্চ তাপমাত্রা ৩৩ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বনিম্ন ২৬ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে, জানিয়েছেন সৈয়দপুর বিমান বন্দরের আবহাওয়া দপ্তরের পরিচালক লোকমান হাকিম।