রোববার রাঙামাটি জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে ‘বৈদেশিক কর্মসংস্থানের জন্য দক্ষতা ও সচেতনতা’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি বলেন, “রাঙামাটিতে প্রবাসে জনশক্তি রপ্তানির ক্ষেত্রে প্রধান বাধা হলো পাসপোর্ট প্রাপ্তি।
“এখানে পাসপোর্টের আবেদন করলে জায়গা-জমি সংক্রান্ত কাগজপত্র চাওয়াতে অনেকেরই জায়গা না থাকাতে পাসপোর্ট পান না। সে কারণে এ জেলা থেকে বিদেশে জনশক্তি রপ্তানি অনেকটা কম।
পাসপোর্ট প্রদানে জায়গা-জমির যাচাইয়ের নিয়মটি শিথিল করলে রাঙামাটি থেকে জনশক্তি রপ্তানি বৃদ্ধি পাবে বলে তিনি মনে করেন।
২০১৮ সালে এ জেলা থেকে কাজের জন্য বিদেশ যাত্রা করেছে ৩৫৭ জন, জানিয়েছেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপসচিব আরিফুর রহমান।
সে বছর এক লাখ মানুষকে বিদেশে পাঠানোর লক্ষ্যমাত্রার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, “সেক্ষেত্রে রাঙামাটির ১০ উপজেলা থেকে কমপক্ষে এক হাজার জনকে বিদেশ পাঠানোর কথা।”
লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী প্রবাসে জনশক্তি রপ্তানির ক্ষেত্রে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, প্রশাসনসহ সমাজের সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।
তবে রাঙামাটি থেকে জনশক্তি রপ্তানির আরও কয়েকটি সমস্যার কথা উঠে আসে সেমিনারে।
“পার্বত্য অঞ্চল দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে পিছিয়ে থাকায় এখানে এত টাকা দেওয়ার মতো লোক পাওয়া যায় না। সেক্ষেত্রে এই ডিপোজিট পার্বত্য অঞ্চল হিসেবে বিশেষ বিচেনায় কমানো গেলে রিক্রুটিং এজেন্ট পাওয়া যাবে এবং জনশক্তি রপ্তানি আরও বাড়বে।”
রাঙামাটি সদর উপজেলার মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নাসরিন আক্তার বলেন, সুষ্ঠু পরিবেশ দিতে পারলেই আরও বেশি নারী বিদেশে যাবে।
রাঙামাটির ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক এস এম শফি কামালের সভাপতিত্বে এই সেমিনারে অন্যদের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন রাঙামাটির অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো. নজরুল ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) শারমিন আলম প্রমুখ।