দুপুরে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ শওকত আলী আসামিদের উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ডিতরা হলেন- চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার চরমোহনপুরের সেলিম ওরফে হারুন মিস্ত্রি, শিবগঞ্জ উপজেলার সমজোলা গ্রামের আব্দুর রাকিব ওরফে সুমন, ভোলাহাট উপজেলার মুশরিভূজা গ্রামের রবিউল ইসলাম ওরফে রবি, খড়গপুরের রমজান আলী, গোমস্তাপুর উপজেলার কয়লাদিয়াড় গ্রামের আব্দুল মুমিম ওরফে আব্দুল্লাহ ও নওগাঁর নিয়ামতপুর উপজেলার পরাণপুর গ্রামের হযরত আলী ওরফে ফিরোজ কবীর।
কারাদণ্ডের পাশপাশি তাদের দশ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন বিচারক।
আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আঞ্জুমান আরা জানান, ২০০৯ সালের ১৭ জুন ভোলাহাট উপজেলার মুশরিভূজা গ্রামের রবিউলের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
পরে তার দেওয়া তথ্যে ওইদিনই একই উপজেলার খড়গপুর গ্রামের রমজান আলীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে একটি ওয়ান শুটার গান, তিনটি গুলি ও জিহাদি বই উদ্ধার করা হয়। পরে তাদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী বিভিন্ন সময় বাকি আসামিদের গ্রেপ্তার করা হয়।
আসামিরা চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল, গোমস্তাপুর ও ভোলাহাট উপজেলার জেএমবিকে নতুন করে সংগঠিত করছিল।
এসব ঘটনায় ভোলাহাট থানায় অস্ত্র ও সন্ত্রাস বিরোধী আইনে দুটি আলাদা মামলা দায়ের করা হয়।
তদন্ত শেষে ২০০৯ সালের ১২ অগাস্ট একটি মামলার এবং ২০১৬ সালের ৩০ মার্চ অন্য আরেকটি মামলার অভিযোগপত্র আদালতে দাখিল করা হলে এ মামলার বিচার শুরু হয়।