ময়মনসিংহ রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি আক্কাছ উদ্দিন ভূঁইয়া শনিবার একথা জানান।
তিনি বলেন, “দায়িত্ব পালনে অবহেলার কারণে শনিবার নকলা থানার ওসি কাজী শাহনেওয়াজকে প্রত্যাহার করে জেলা পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে।”
এর আগে শুক্রবার এ থানার এসআই ওমর ফারুককে প্রত্যাহার করা হয়।
তিনি বলেন, শেরপুর সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আমিনুল ইসলামকে প্রধান করে জেলা পুলিশের তিন সদস্যের তদন্ত কমিটিও তাদের তদন্ত রিপোর্ট ইতিমধ্যে জমা দিয়েছেন।
একমাস আগের এ ঘটনা ঘটলেও সম্প্রতি প্রকাশিত একটি ভিডিওতে দেখা যায়, এক গৃহবধূকে গাছের সঙ্গে হাত-পা বেঁধে মারধর করা হচ্ছে।
এ ঘটনায় গত ১২ জুন ওই গৃহবধূ তার তিন ভাসুর ও এক জাসহ নয়জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত পরিচয় আরও ৩/৪ জনকে আসামি করে মামলা করেছেন।
অভিযোগে নাম রয়েছে গৃহবধূর ভাসুর আবু সালেহ (৫২), নেছার উদ্দিন (৪৮) ও সলিমুল্লাহ (৪৪), জা লাকী আক্তার (৩৪), জার বড়বোন নাসিমা আক্তার (৩৯), পৌর কাউন্সিলর রূপালী বেগম (৩৫), তার স্বামী আমিরুল ইসলাম (৪৫), প্রতিবেশী তাফাজ্জল হোসেন (৪৪), তার ছেলে ইসমাইল হোসেনসহ (২০) নয়জনের।
মামলার নথি থেকে জানা যায়, জমিসংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে গত ১০ মে চোখে মুখে মরিচের গুড়া ছিটিয়ে ওই নারীকে গাছে বেঁধে নির্যাতন করেছে তার ভাসুর, জাসহ কয়েকজন।
এই দৃশ্য নির্যাতনকারীরা মোবাইল ফোনেও ধারণ করেছে এবং এ ঘটনায় গৃহবধূর গর্ভের সন্তান নষ্ট হয়েছে বলেও মামলায় অভিযোগ করা হয়।
আসামিদের মধ্যে নাসিমা আক্তারকে পুলিশ ইতিমধ্যে গ্রেপ্তার করেছে।