উপজেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডর নির্বাহী প্রকৌশলী রণেন্দ্র চক্রবর্তী জানান, ধলই নদের পানি বিপৎসীমার ১৩৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। রাতে পানি আরও বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
কয়েক বছর ধরে পশ্চিম ঘোড়ামরা গ্রামের ধলই নদের প্রতিরক্ষা বাঁধের ভাঙন মেরামত করা হয়নি বলে পানি গ্রামে ঢুকেছে, এমন অভিযোগ করেছেন এলাকাবাসী।
ঘোড়ামারা গ্রামের পানিবন্দি মনিপুরী থিয়েটারের নির্বাহী প্রধান সুভাশীস সিনহা বলেন, টানা বৃষ্টিতে উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে ঘোড়ামারা ও নাজাত কোণা গ্রাম নিমজ্জিত হয়েছে।
পশ্চিম ঘোড়ামারা গ্রামের ১৫টি বসতঘর নদীতে বিলীন হয়ে গেছে বলে জানিয়েছেন ওই গ্রামের হোসেন আলীর মেয়ে কলেজছাত্রী রওশন আরা।
উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আশেকুল হক বলেন, ঘোড়ামারা গ্রামের প্রতিরক্ষা বাঁধের ভাঙন রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষকে তাগাদা দিয়েছেন।
প্রকৌশলী রণেন্দ্র চক্রবর্তী বলেন, এলাকাবাসী আপত্তির কারণে ২০১৭ সালের একটি বাঁধ মেরামত প্রকল্পে ঠিকাদার কাজ করতে পারেননি। এ কারণে এ অবস্থা। জনপ্রতিনিধিদের সহযোগিতা পাওয়া গেলে আবার কাজ করা হবে।
তবে এলাকাবাসীর আপত্তির কারণ তিনি বলতে পারেননি।