রাজশাহীর সেই এএসআই প্রত্যাহার

‘ঘুষ না পেয়ে’ দিনমজুরের পা ভেঙে দেওয়ার অভিযোগে রাজশাহীর দুর্গাপুর থানার এএসআই হাফিজকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।

রাজশাহী প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 13 June 2019, 04:45 PM
Updated : 13 June 2019, 05:57 PM

বুধবার রাতে জেলার পুলিশ সুপার মো. শহিদুল্লাহ এই প্রত্যাহারের আদেশ দেন।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাহামুদুল হাসান বলেন, এএসআই হাফিজকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে। একই সঙ্গে বিষয়টি তদন্তের জন্য পুঠিয়া সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার আবুল কালাম শাহীদকে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

ঘুষ না দেওয়ায় পিটিয়ে এএসআই হাফিজের বিরুদ্ধে পা ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ করেন অনন্তকান্দি গ্রামের দিনমজুর সাইদুল ইসলাম।

সাইদুল ইসলাম বর্তমানে দুর্গাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন আছেন।

সাইদুল সাংবাদিকদের বলেন, তার পুত্রবধূ তার ছেলে আসাদুল ইসলামে বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দিয়েছেন। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় আসাদুলকে আটক করেন এএসআই হাফিজ। তাকে থানায় না নিয়ে অনন্তকান্দি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে নিয়ে যান তিনি। খবর পেয়ে তিনিও ওই বিদ্যালয় মাঠে যান আসাদুলকে ছাড়াতে।

সাইদুল বলেন, “এ সময় আমার কাছে ২০ হাজার টাকা ঘুষ দাবি করেন এএসআই হাফিজ। টাকা নেই বলে জানালে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন তিনি। আমি তাকে ৯০০ টাকা দিলে তা নিয়েও হাফিজ আমাকে বাঁশের লাঠি দিয়ে পিটিয়ে বাম পা ভেঙে দেন।”

পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়। এদিকে গভীর রাতে ছেলে আসাদুলকে ছেড়ে দেওয়া হয় বলে তিনি জানান।

স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক আসফাক হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, সাইদুল ইসলামের হাঁটুতে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে হাড় ভেঙে গেছে। তবে এক্স-রে না করে নিশ্চিত হওয়া যাবে না কী পরিমাণ ভেঙেছে।

স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এক্স-রে মেশিন না থাকায় বাইরে থেকে করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে বলে তিনি জানান।

তবে এএসআই হাফিজ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছিলেন, আসাদুল নামে কাউকে আটক বা তার বাবার কাছে ঘুষ দাবি বা কাউকে নির্যাতন করা হয়নি।

এ বিষয়ে দুর্গাপুর থানার ওসি আব্দুল মোতালেব বলেন, “বিষয়টি আমার নলেজে নেই। আমার কাছে কেউ অভিযোগও করেনি। অভিযোগ পেলে বিষয়টি তদন্ত করা হবে।”