বুধবার বিকাল ৪টায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু ঘটে বলে তার বড়োভাই মনিরুল ইসলাম জানান।
মৃত ট্রাক চালক জহিরুল ইসলাম (৩৫) কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার দক্ষিণ মোহাম্মদপুর গ্রামের রোশন আলীর ছেলে। দীর্ঘদিন যাবৎ তিনি বুড়িচং উপজেলার মোকাম ইউনিয়নের পরিহলপাড়া গ্রামের মামার বাড়িতে থেকে ট্রাক চালাতেন।
তার স্ত্রী, চার মেয়ে ও এক ছেলে রয়েছে।
স্থানীয় আলমগীর হোসেন জানান, আদর্শ সদর উপজেলার সৈয়দপুর গ্রামের এক ট্রাক চালকের (৫৫) সঙ্গে জহিরুল ইসলামের বন্ধুত্ব ছিল। বন্ধুত্বের সূত্রে জহিরুল প্রায়ই বন্ধুর বাড়িতে আসা-যাওয়া করতেন। এক পর্যায়ে বন্ধুর স্ত্রীর (৩৫) সঙ্গে পরকীয় প্রেমে জড়িয়ে পড়েন জহিরুল।
আলমগীর বলেন, স্ত্রীর সঙ্গে বন্ধুর পরকীয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে ওই চালক গত সোমবার (১০ জুন) সন্ধ্যায় ফোন করে জহিরুলকে নিমসার পেট্রোল পাম্প সংলগ্ন গ্রামীণ হোটেলের ছাদে ডেকে নেন।
“এ সময় কথাকাটাকাটির এক পর্যায়ে ওই নারীর স্বামী চালক জহিরুল ইসলামের গায়ে পেট্রোল ঢেলে আগুল জ্বালিয়ে দেন।”
আলমগীর বলেন, গায়ে আগুন নিয়ে জহিরুল ইসলাম দৌড়ে ছাদ থেকে নেমে আসলে স্থানীয়রা পানি ঢেলে আগুন নিভায় এবং অগ্নিসংযোগকারী চালককে ধরে পুলিশে দেয়।
এদিকে, দগ্ধ জহিরুল ইসলামকে প্রথমে কাবিলা ইস্টার্ন মেডিকেল কলেজ হাসপালে এবং পরে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয় স্থানীয়রা। সেখানে তার অবস্থার অবনতি ঘটলে রাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়।
বুড়িচং থানার ওসি আকুল চন্দ্র বিশ্বাস বলেন, বুড়িচং থানার দেবপুর ফাঁড়ি পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ওই চালককে আটক করেছে। পরে জহিরুলের ভাই মো. কালা বাদী হয়ে বুড়িচং থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
“জহিরুলের মৃত্যু হওয়ায় ওই মামলার সাথে নতুন করে হত্যা মামলার সেকশন যুক্ত হবে। ঘটনার তদন্ত চলছে।”
আসামি ওই চালক বর্তমানে কুমিল্লা কারাগারে আছেন।