কিশোরগঞ্জে তাবলিগকর্মীর মৃত্যু: আটক আরও ২

কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীতে অগ্নিদগ্ধ হয়ে তাবলিগ জামাতের কর্মী আব্দুর রহিম রাজনের মৃত্যুর ঘটনায় আরও দুইজনকে আটক করা হয়েছে।

কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 11 June 2019, 05:39 PM
Updated : 11 June 2019, 05:39 PM

কটিয়াদি থানার ওসি আবু শামা মো. ইকবাল হায়াৎ জানান, রাজনের মৃত্যুর ঘটনায় সহযোগিতা করার অভিযোগে মঙ্গলবার স্থানীয় জালালপুর জামে মসজিদের ইমাম ও কটিয়াদি তাবলিগ জামাতের আমির মাওলানা কাওছার মিয়া এবং বনগ্রাম ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমানকে আটক করা হয়েছে।

এ নিয়ে এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে চারজনকে আটক করা হলো। এর আগে মাহমুদুল হাসান ও সোহেল মিয়া নামে এজাহারভুক্ত দুজনকে আটক করা হয়। তারা কিশোরগঞ্জ কারাগারে আছেন।

এদিকে, মঙ্গলবার সকাল ৯টায় কটিয়াদী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে রাজনের নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। কাকরাইল মসজিদের তাবলিগ জামাতের আমির মাওলানা আব্দল্লাহ জানাজা নামাজে ইমামতি করেন।

নামাজ শুরুর আগে রাজনকে পুড়িয়ে মারার ঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়ে বক্তব্য রাখেন কটিয়াদী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল ওয়াহাব আইন উদ্দিন এবং সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান লায়ন আলী আকবর।

গত ১৯ মে রাতে কটিয়াদির দরগা জামে মসজিদে তারাবির নামাজ শেষে কটিয়াদি সদরে মধ্য পাড়া এলাকায় নিজ বাড়িতে ফেরেন রাজন। পরে জামাতের কাজে রাত পৌনে ১১টার দিকে আবার বাসা থেকে বের হয়ে মসজিদের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হন। কিছুদূর এগুতেই পাঁচ যুবক রাজনকে ধরে শরীরে পেট্রল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়।

২২ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর সোমবার দুপুরে আব্দুর রহিম রাজন (২৭) ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে মৃত্যুবরণ করেন।

২১ মে রাজনের মামা মামুনুর রশীদ বাদী হয়ে কটিয়াদি থানায় পাঁচজনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেছেন।