জেলার কোটালীপাড়া উপজেলার বৈকণ্ঠপুর গ্রামে তরুণ ঘটকের বাড়িতে তিনি অবস্থান নিয়েছেন। তরুণ ঘটক বিয়ে না করে তাকে লাঞ্ছি করে তাড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছেন।
এখন দুই পরিবারের মধ্যে সমঝোতার চেষ্টা চলছে।
ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা গেছে, তরুণদের পুরনো টিনের ঘরের সামনে একটা প্লাস্টিকের চেয়ারে বসে আছেন মাদারীপুরের সৈয়দ আবুল হোসেন কলেজের তৃতীয় বর্ষের ওই ছাত্রী।
তিনি বলেন, মোবাইল ফোনের মাধ্যমে পরিচয়ের পর চার বছর ধরে তরুণের সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক চলছে। তরুণ ঢাকার সোহরাওয়ার্দী কলেজের মাস্টার্সের ছাত্র।
“তরুণ আমাকে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে ঢাকায় তার সায়েদাবাদের বাসায় নিয়ে যায়। বৃহস্পতিবার সে আমাকে ফোন করে তার এই বাড়িতে আসতে বলে। আমি আসার পর সে আমাকে মারধর করেছে। এখন যদি আমাকে বিয়ে না করে তাহলে এই বাড়িতেই আমি আত্মহত্যা করব। স্ত্রীর স্বীকৃতি না পেলে লাশ হয়ে শশ্মানে যাব।”
তরুণ ঘটক প্রেমের সম্পর্ক ও মারধরের কথা স্বীকার করেছেন।
তিনি বলেন, “সেও আমার মত পড়াশেনা করছে। আমাদের আর্থিক অবস্থা ভাল না। দুজনে পড়াশোনা শেষে চাকরিবাকরি নিয়ে বিয়ের সিদ্ধান্ত নেব। কিন্তু ওই মেয়ের তর সইছে না।
“এর আগেও সে একদিন আমাদের বাড়িতে এসেছিল। তখন তাকে বুঝিয়ে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। এখন আবার এসেছে। এ কারণে ক্ষিপ্ত হয়ে লাঞ্ছিত করেছি।”
দুই পক্ষের অভিভাবকদের মধ্যে আলোচনা চলছে। সমস্যাটির দ্রুত সমাধান হবে বলে আশা করছেন তরুণের মা ইতি ঘটক।
কলাবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মাইকেল ওঝা বলেন, “মেয়ে ও ছেলের পরিবার আমার কাছে এসেছিল। আমি সমাজিকভাবে বিষয়টি মীমাংসার পরামর্শ দিয়েছি।”