ঢাকার গার্মেন্টসকর্মী মাগুরায় ‘ধর্ষণের শিকার’

ঢাকা থেকে মাগুরায় বেড়াতে আসা এক পোশাককর্মীকে ধর্ষণ ও নগ্ন ভিডিও চিত্র ধারণের অভিযোগে মামলা হয়েছে।

মাগুরা প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 10 June 2019, 01:34 PM
Updated : 10 June 2019, 03:13 PM

মাগুরা সদরের বারাশিয়া গ্রামে শনিবার রাতে এ ঘটনা ঘটে বলে ওই নারী মামলায় অভিযোগ করেছেন।  

মাগুরার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তারিকুল ইসলাম জানান, রোববার রাতে ওই নারী বাদী হয়ে সদর থানায় মামলা দায়ের করেছেন। ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য সোমবার তাকে মাগুরা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলে তিনি জানান।

মামলার নথি থেকে জানা যায়, ঢাকার মিরপুরে একটি ফ্ল্যাটে শেয়ারে বসবাস করেন মাগুরার বারাশিয়া গ্রামের লিমা খাতুন ও তার স্বামী মিল্টন হোসেন এবং ওই নারী ও তার স্বামী। তারা লিমাদের বাসায় সাবলেট থাকেন।

সেই সুবাদে ঈদে মেয়েটি লিমা খাতুনের সঙ্গে মাগুরায় তার বাড়িতে বেড়াতে আসেন।

অভিযোগ করা হয়, শনিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে স্বামীর সঙ্গে তিনি মোবাইল ফোনে কথা বলতে বলতে বাড়ির বাইরে গেলে স্থানীয় লিটু মোল্লা (২৭), রেজোয়ান  মোল্লা (২১)  ও শামিম বিশ্বাস (২১)  নামে স্থানীয় তিন যুবক তাকে জোর করে পাশের পাট খেতে ধরে নিয়ে যান।

“এরপর অন্য দুইজনের সহায়তায় লিটু মোল্লা তাকে ধর্ষণ করেন এবং ধর্ষণের পর মোবাইল ফোনে নগ্ন ছবি ও ভিডিও চিত্র ধারণ করেন।” 

মামলায় আরও বলা হয়, এরপর ধর্ষক লিটু তার স্বামীর কাছে ফোন করে চাঁদা দাবি করেন। চাঁদা না দিলে নগ্ন ছবি ও ভিডিও চিত্র প্রকাশের হুমকি দেন। লিটুর হুমকি ও ভিডিও চিত্র ধারণের ফলে সামাজিক লোকলজ্জায় প্রথমে তিনি বিষয়টি চেপে যান। পরবর্তীতে হুমকি-ধামকি ও চাঁদা দাবি অব্যাহত থাকায় তিনি ধর্ষণ, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন এবং পর্নোগ্রাফি আইনে লিটু মোল্লা, তার দুই সহযোগী রেজোয়ান মোল্লা ও শামিম বিশ্বাসের নামে মামলা দায়ের করেন।

মাগুরার অতিরিক্ত পুলিশ তারিকুল ইসলাম বলেন, ধর্ষণ, নগ্ন ছবি ও ভিডিও চিত্র ধারণের অভিযোগে দায়েরকৃত মামলার ভিকটিমের ডাক্তারি পরীক্ষা ও আইনি প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। একই সঙ্গে আসামিদের গ্রেপ্তারে  পুলিশ অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে।

মাগুরা সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার বিকাশ বিশ্বাস জানান, ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য সোমবার দুপুরে পুলিশ এক নারীকে হাসপাতালে এনেছে। তিনি হাসপাতালের একজন নারী চিকিৎসককে পরীক্ষা-নিরীক্ষার দায়িত্ব দিয়েছেন। এখনও চূড়ান্ত রিপোর্ট হাতে পাননি।