আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আক্তার হোসেন-শিউলী আক্তার দম্পতিকে মেয়েটিকে দত্তক নেওয়ার অনুমতি দেন গাজীপুর জেলা প্রশাসক দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ুন কবীর।
জন্ডিস ধরা পড়ায় শিশুটিকে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
মঙ্গলবার রাতে স্থানীয় পোড়াবাড়ি এলাকার সফিকুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তি ওই নবজাতককে হাসপাতালে আনেন বলে জানান শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক প্রণয় ভূষণ দাস।
সফিকুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে তিনি পোড়াবাড়ি এলাকায় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের পাশ দিয়ে হেঁটে বাড়ি ফিরছিলেন। এ সময় ওই মহাসড়কের পাশে পরিত্যক্ত এক বাজারের ব্যাগ থেকে শিশুর কান্না শুনতে পান। পরে তিনি ব্যাগে এক নবজাতককে দেখতে পান।
তিনি শিশুটিকে নিয়ে স্থানীয় ২৩ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মঞ্জুরুল ইসলামের সহায়তায় শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান।
হাসপাতালের চিকিৎসক প্রণয় ভূষণ দাস বলেন, প্রথমদিকে শিশুটিকে ভালো মনে হলেও বর্তমানে তার জন্ডিস ধরা পড়েছে। প্রয়োজন হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কিংবা শিশু হাসপাতালে পাঠানো হবে। নবজাতক ওই মেয়ের ওজন দুই কেজি।
ইতিমধ্যে মেয়েটির নামকরণও করা হয়েছে। হাসি। ঈদের আনন্দে আক্তার-শিউলী দম্পতির মুখে হাসি ফুটিয়েছে এই শিশু। তাই তার দত্তক বাবা-মা তার নাম রেখেছেন ‘হাসি’, বলেন ডা. প্রণয়।
এদিকে, হাসপাতালে থাকাকালে সফিকুল ইসলামের নিকট আত্মীয়া শিউলী আক্তারসহ কয়েকজন শিশুটিকে দত্তক নেওয়ার আবেদন করেছিলেন। পরে জেলা প্রশাসক দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ুন কবীর মহানগরীর মারিয়ালী এলাকার নিঃসন্তান আক্তার হোসেন-শিউলী আক্তার দম্পতিকে দত্তক দেওয়ার অনুমতি দেন।
সফিকুল ইসলাম বলেন, প্রায় ১৬ বছর আগে আক্তার-শিউলীর বিয়ে হয়। এখন পর্যন্ত তাদের কোনো সন্তান হয়নি। আক্তার হোসেন সম্পর্কে তার বেয়াই। অনেকদিন ধরেই ওই দম্পতি দত্তক নেওয়ার জন্য শিশু খুঁজছিলেন। শিশুটি পাওয়ার পর থেকে শিউলী আক্তার হাসপাতালে বাচ্চাটির দেখাশুনা করছেন।