ভৈরবে ‘প্রেমিকাকে’ ধর্ষণের অভিযোগ, যুবক আটক

কিশোরগঞ্জের ভৈরবে কথিত প্রেমিকের বিরুদ্ধে এক কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে।

গত বৃহস্পতিবার এ ঘটনা ঘটে বলে মেয়েটির মা মামলায় অভিযোগ করেছেন।

ধর্ষণের অভিযোগে ভৈরব উপজেলা শহরের পঞ্চবটি এলাকার বাসিন্দা রনি মিয়াসহ (২০) চারজনের নামে থানায় মামলা করেছেন।

মামলার অপর তিন আসামি হলেন রনি মিয়ার সহযোগী ইমন মিয়া (২২), নূর মোহাম্মদ (২১) ও আশিক  মিয়া (২০)।   

পুলিশ আশিককে গ্রেপ্তার করেছে।

মামলায় অভিযোগ করা হয়, গত সাত মাস ধরে ভৈরব উপজেলার এক কিশোরীর (১৩) সঙ্গে রনি মিয়ার (২০) প্রেমের সম্পর্ক চলছে।

বৃহস্পতিবার রাতে মোবাইল ফোনে কথা আছে জানিয়ে রনি মেয়েটিকে স্থানীয় একটি স্কুলে আসতে বলেন। এরপর মেয়েটি রাত সাড়ে ১০টার দিকে তার খালাকে নিয়ে ওই স্কুলে যায় বলে অভিযোগে বলা হয়।

মামলায় আরও অভিযোগ করা হয়, স্কুলে যাওয়ার পর ওই স্কুলের পিয়ন ইমন মিয়াসহ অপর দুই আসামি নূর মোহাম্মদ ও আশিক মিয়া কিশোরী ও রনিকে একটি কক্ষে ঢুকিয়ে দিয়ে বাইরে তালা মেরে দেন এবং কিশোরীর খালাকে স্কুল থেকে বের করে দেন।

ধর্ষণের ফলে অতিরিক্ত রক্তপাতের কারণে কিশোরী অসুস্থ হয়ে পড়লে রনি বন্ধুদের সহযোগিতায় মেয়েটিকে তার এক বান্ধবীর বাসায় রেখে পালিয়ে যান বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।

পরে খবর পেয়ে কিশোরীর অভিভাবকরা তাকে স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান।

এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ভৈরব থানার এসআই শ্যামল কান্তি নাথ বলেন, “প্রাথমিক তদন্তে ধর্ষণের আলামত পাওয়া গেছে। ধর্ষিতাকে পরীক্ষার জন্য কিশোরগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।”

ভৈরব থানা ওসি মোখলেছুর রহমান বলেন, ঘটনার পরদিন শুক্রবার কিশোরীর মা বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে রনিসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন।

“পুলিশ শনিবার মামলার ৪ নম্বর আসামি আশিককে গ্রেপ্তার করে কিশোরগঞ্জ আদালতে পাঠালে বিচারক তাকে হাজতে পাঠানোর আদেশ দেন।”

প্রধান আসামি রনি মিয়াসহ অন্যদের গ্রেপ্তারে চেষ্টা চলছে বলেও জানান ওসি।